ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে জেএমসেন হলে হামলার চেষ্টায় গ্রেফতার ৭০, হরতাল পালন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
চট্টগ্রামে জেএমসেন হলে হামলার চেষ্টায় গ্রেফতার ৭০, হরতাল পালন ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: নগরের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আধাবেলা হরতাল পালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জুমার নামাজের পর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে বের হয়ে একদল লোক জেএমসেন হল পূজা মণ্ডপের গেইট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এসময় তারা ঢিল ছুড়ে এবং পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া দিয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এঘটনায় নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যায়নি।

ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত শনিবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামে আধাবেলা হরতালের ডাক দেন। হরতাল চলাকালে আন্দরকিল্লা এলাকায় যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত।

হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে আন্দরকিল্লা মোড়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দ সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন। তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তারা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু গুজব রটিয়ে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, প্রতিমা ভাঙা হচ্ছে। এতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আজও সক্রিয়। নানা ছদ্মাবরণে সরকারি দলের ভিতরে-বাইরে অবস্থান করছে তারা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন রক্ষা করতে হবে। আমাদের স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে। আমরা প্রগতিশীল রাজনীতির পক্ষে সব ধরনের উগ্রবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে। সকল ধরনের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান রাখতে চাই।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে নামাজের পর বেলা তিনটা থেকে পূজামণ্ডপ থেকে বিসর্জনের জন্য বের হওয়ার প্রস্তুতি ছিল। জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে নারীরা সিঁদুর দিয়ে দেবী বিদায়ের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বাইরে থেকে হামলার ঢিল ছুঁড়ে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ (শনিবার) বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।