ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এক মাসের মধ্যে চালু হচ্ছে সাগরিকার ইনডোর 

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এক মাসের মধ্যে চালু হচ্ছে সাগরিকার ইনডোর 

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগামী এক মাসের মধ্যে চালু হচ্ছে ইনডোর।  ইনডোরের কাজ এর মধ্যেই ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

 সাগরিকা স্টেডিয়াম হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইনডোর ছাড়া চলছে প্রায় দুই বছর ধরে। দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ও বিপিএলের কারণে কাজ চলেছে ধীরগতিতে।
 এ কারণেই নির্ধারিত সময়ে গড়ে ওঠেনি এই ইনডোর। এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা অন্য কোনো কারণে মাঠে ক্রিকেটারা অনুশীলন সম্ভব না হলে ইনডোরে অনুশীলন করতে পারছেন না।

জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয় ইনডোরটি তৈরি করা হচ্ছে।  চট্টগ্রাম আউটার লিংক রোড তৈরি করতে গিয়ে ভাটিয়ারী থেকে শুরু হয়ে সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ঘেঁসে পতেঙ্গায় পড়েছে, যা কিনা কর্ণফুলী ট্যানেলের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।  ট্যানেলের ভেতর দিয়ে আনোয়ারা হয়ে কক্সবাজারেও যাবে।  এই রাস্তার ফ্লাইওভারের ল্যান্ডিং এক জায়গায় নির্মিত হচ্ছে, যেখানে এক সময়ে জহুর আহমেদের ইনডোর ছিল।  ফ্লাইওভার তৈরি করতে গিয়ে সিডিএ জহুর আহেমেদের স্টেডিয়ামের ভূমি অধিগ্রহণ করেছিল।  সেখানে পুরাতন ইনডোরটি ছিল।  বর্তমানে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর তৈরি করা হচ্ছে।  আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে এতে।  ১৪২ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৫৮ ফুট প্রস্থের এই ইনডোরে চারটি উইকেট থাকবে।  গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।  ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বিসিবিকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সিডিএ এর। কিন্তু এর এক বছর পরেও সেট পারেনি সংস্থাটি।

জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, ইনডোরের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।  আগামী এক মাসের মধ্যে ইনডোরে অনুশীলন করতে পারবেন খেলোয়াড়রা।  আমাদের ইনডোরের ছাউনিসহ বেশির ভাগ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।  ইনডোরে চারটি ইউকেট হবে। সেখানে চারটি টার্ফের মধ্যে ইতিমধ্যে দুইটি চলে এসেছে।  আগামী সাপ্তাহের মধ্যে বাকি দুইটি টার্ফও চলে আসবে।  কাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  সিডিএকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।  মাঠে খেলার সময় নিরাপত্তার জন্য কাজ বন্ধ থাকে।  মাঠে গতকিছু ধরে অনেক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।