চট্টগ্রাম: নগরের সিআরবির একটি রেস্টুরেন্টে ১৮৯ টাকার স্পেশাল কফি খেয়ে ৯ টাকা ভ্যাট দিয়েছিলেন বদরুল আলম। ইএফডি মেশিনে দেওয়া তার ইনভয়েস নম্বর জিতেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ফেব্রুয়ারি মাসের লটারির চতুর্থ পুরস্কার, ১০ হাজার টাকা।
মেহেদিবাগের একটি বিউটি পার্লারে ১ হাজার টাকায় ফেসিয়াল ও ভ্রু প্লাকের সেবা নিয়েছিলেন প্রীতি রায়। তিনি ভ্যাট দেন ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের হাতে পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করেন।
ইএফডি ও এসডিসি বিষয়ে ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সচেতনতা বাড়াতে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম। ভ্যাট মেলা, ভ্যাট বুথ, ভ্যাট স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ইএফডি প্রচারণার পাশাপাশি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত বাংলায় ক্রিকেট সেলিব্রেটি আকরাম খানকে দিয়ে প্রচারণামূলক পোস্টার জনগণকে ইএফডি চালান নিতে উদ্বুদ্ধ করছে। জনগণ সচেতন হয়ে ইএফডি চালান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে একদিকে যেমন নিজেদের দেওয়া মূসক সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করছেন, অন্যদিকে লটারি বিজয়ী হয়ে পুরস্কার জিতে নিচ্ছেন।
ইএফডিএমএস থেকে ইস্যু করা চালানের ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে আর্থিক পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০২১ অনুযায়ী বিজয়ীদের ইনভয়েস নম্বর, চালানের কপি, আইডি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে ইতিপূর্বে স্থাপিত ৫২০টি ইএফডি মেশিনের পাশাপাশি আরও ৫০০টি মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। প্রতিটি ইএফডি মেশিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে। ক্রেতাদের/ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে লটারি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন কমিশনার।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন সবাইকে কেনা-কাটার সময় চালান সংগ্রহ করে তা লটারির জন্য সংরক্ষণের অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
এআর/টিসি
