ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২২
বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল সোয়া ১১টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে তাকে ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার ধার্য তারিখ থাকায় ফেনী কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।

ঐদিন বাবুল আক্তারের আইনজীবী পুনরায় ফেনী কারাগারে বাবুল আক্তারকে প্রেরণ করার জন্য আবেদন করেন।

আদালতের তলব মোতাবেক ফেনী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। কিন্তু আসামি বাবুল আক্তার যেহেতু পূর্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন দুর্ধর্ষ আসামিকে গ্রেফতার করার কারণে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তাবোধ না করায়, বাবুল আক্তার শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে ফেনী কারাগারে অতিসত্তর পুনরায় প্রেরণের আবেদন জানানো হয়। একইদিন আদেশে আদালত, কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন।  

২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে গত বছরের ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। ঐদিনেই মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। গত ৬ মার্চ মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট গ্রহণ করেছেন আদালত।  

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে জিইসি মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় ঢাকায় অবস্থান করা মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে নিজের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার কয়েকদিন পরেই মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। একপর্যায়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার শ্বশুর।

পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলা তদন্তের ভার পায় পিবিআই। মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। ২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪ , ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।