চট্টগ্রাম: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স (আইসিসিআর) এর সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এ বছর শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আইসিসিআর নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ইউরোপ আমেরিকায় উচ্চশিক্ষাকে লাভজনক খাত হিসেবে দেখা হয়। তাই এসব দেশে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়। সে তুলনায় ভারতে ফি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন আইসিসিআর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি তার পেশাগত জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার দেশগুলোর একটি ভারত। একইসঙ্গে এটি পৃথিবীর অন্যতম উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র। পৃথিবীর প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতকে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ভারতীয়রা অবদান রেখেছে। বর্তমানের ইউরোপ আমেরিকা প্রকৌশল ও চিকিৎসা খাতে ভারতীয়রা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও আইসিটি খাতেও লাখ লাখ ভারতীয় কাজ করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্প্রীতির ওপর টিকে আছে। আমি বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভারতে স্বাগত জানাচ্ছি। আমি আশা করছি তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করেন।
আইসিসিআর ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি, যার আওতায় মেধাবী বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি স্তরে বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ পায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এমআই/টিসি