চট্টগ্রাম: গত মাসে সামজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার তারুণ্য ‘আমরা মালি’শীর্ষক বৃক্ষরোপণ করে ব্যতিক্রমী কার্যক্রম সূচনা করে।
এরপর থেকে চলছে একের পর এক পর্ব।
তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ডিসি হিলে শতাধিক বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রজেক্টটির তৃতীয় পর্ব সম্পন্ন হয়।
দুর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বৃক্ষরোপণ ও এর পরিচর্যা করতে হবে। এতে মানবজাতি ও প্রাণীকূলের বৃহত্তর কল্যাণ সাধিত হবে। ভারসাম্যপূর্ণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে বৃক্ষরোপণ তথা বনায়নের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। গাছবিহীন পৃথিবী এক মুহূর্তও অসম্ভব। মানুষের যাপিত জীবনের সবকিছুই গাছকে ঘিরে ও গাছকে নিয়ে। তাই গাছ নিধন হলে গাছ শুধু একাই মরে না, মানুষসহ প্রায় সব প্রাণসত্তার জন্যই তা ঝুঁকি ও উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষ বছরে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে, তা কমপক্ষে ১০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের বার্ষিক অক্সিজেনের চাহিদা মেটায়। তাই বৃক্ষরোপণ ও এর পরিচর্যা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।
দুর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, বৃক্ষরোপণে সবার আগে চাই আন্তরিকতা। ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’বললে বৃক্ষরোপণের দায়টা সুকৌশলে অন্যের কাঁধে ঠেলে দেওয়া হয়। সত্যি সত্যি পৃথিবীকে বাঁচাতে চাইলে আমাদের মনের কথা হোক: ‘আসুন, গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই’। পরিবেশ যার মাধ্যমে বাঁচবে, সে হলো বৃক্ষ। তাই বৃক্ষকে বাঁচানোর জন্যই ‘আমরা মালি’ প্রোগ্রাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, দুর্বার তারুণ্য এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জিহাদুল ইসলাম, মো. আবুল হাসান, কামরুল ইসলামসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২২
এসি/টিসি