ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চসিকের গৃহকর বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
চসিকের গৃহকর বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি ...

চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন করে গৃহকর পুনঃমূল্যায়নের নামে গৃহকরের পরিমাণ ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ আশি হাজার টাকা হওয়া, ভাড়া আদায়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের প্রক্রিয়ার কারণে চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স এখন বাড়ির মালিকের কাছে আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে এক বিবৃতিতে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এই দাবি করেন।

 

বিবৃতিতে ক্যাব জানায়, গৃহকর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সিটি করপোরেশনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তাদের নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সিটি করপোরেশন গৃহকর ১০ গুণের বেশি বৃদ্ধি মানুষের ভোগান্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

অনতিবিলম্বে বর্তমানে চলমান গৃহকর আদায় প্রক্রিয়া বন্ধ করে বাড়ি ভাড়ার ভিত্তিতে গৃহকর মূল্যায়ন না করে সম্পত্তির অবস্থান, বর্গফুট, গুণগত মান এবং কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যই হতে হবে গৃহকর নির্ধারণ। দেশের সব সিটি করপোরেশনের গৃহকর নির্ধারণের পদ্ধতিকে ইউনিফর্ম পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করে ধাপে ধাপে কর বৃদ্ধি ও কর মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কর আদায়কে জনবান্ধব করতে হবে।  

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রয়োজনে ১৯৮৬ সালের দ্য সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস অনুসরণে বাংলাদেশের ১১টি সিটি করপোরেশনে গৃহকর নির্ধারণের উদ্যোগ নিতে ভারতের মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা ও চেন্নাইয়ের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের লন্ডন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীতে বিদ্যমান পদ্ধতির তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নতুন আইন প্রণয়ন করে কমিশন গঠন করতে হবে। নগর জুড়ে ভাঙ্গা রাস্তা নগরবাসীর জন্য যেমন যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তেমনি যত্রতত্র ময়লার স্তূপে পুরো নগরী যেন আবর্জনার ডিপোতে পরিণত হয়েছে। ধুলাবালির যন্ত্রণায় সর্দি, কাশি, হাপানি ও শ্বাসকষ্টের প্রার্দুভাব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। নাগরিক সেবা প্রদানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বয়ের অভাবে যে যেভাবে পারে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করায় প্রকল্পগুলো নগবাসীর জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে। যার দায়ভার সিটি করপোরেশনের উপর পড়ছে।  

ক্যাব সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের উপস্থিতিতে গণশুনানির ব্যবস্থার দাবি করলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি। এছাড়াও বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ খাতে সরকারের পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন ও ক্রেতা-ভোক্তা হিসাবে প্রতারিত হলে যথাযথ আইনি ক্ষতিপূরণ পাবার জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ এর আশু সংশোধণ দরকার।  

‘নগরে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের ডাটাবেস থাকা না থাকায় হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য ট্যাক্স আদায়ে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির মাত্রা বাড়ছে। তাই সিটি করপোরেশনের গৃহকর আদায়ে নোটিশ প্রদান প্রক্রিয়া, হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ, আদায় ইত্যাদি সব প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করা হলে এই খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম অনেকাংশে কমে যাবে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।