চট্টগ্রাম: দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে একযোগে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে এ মন্তব্য করেন।
এসময় ফৌজদারী কার্যবিধির ৯৮, ১৪৫, ১৬৪ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারার প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ড. বেগম জেবু্ননেছা।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তে ও ফরেনসিক বিভাগে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
কনফারেন্সের শুরুতে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি উচ্চ আদালতের আদেশের প্রসঙ্গ টেনে মামলা গ্রহণকালে মর্যাদা হানিকর খেতাবি নাম পরিহার করার জন্য বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন। বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তাছাড়া, তিনি এনআইডি, পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত এভিডেভিট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবু্ননেছা। আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস আক্তার, অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন এবং চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর উত্তম কুমার দত্ত। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডিসি (দক্ষিণ জোন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসানসহ মহানগরীর সকল থানার ওসিবৃন্দ। চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার তানভীর ফরহাদ। কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, নির্বাচন অফিস, পাসপোর্ট অফিস, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২২
এমআই/টিসি