আগরতলা (ত্রিপুরা): সোমবার (১ মে) ছিল আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদিন ত্রিপুরা রাজ্যজুড়েও দিবসটি উদযাপন করা হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এদিন বিকেলে রাজধানী আগরতলার সিটি সেন্টার এলাকায় সিআইটিইউর উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়। এই সভার প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিপিআইএম দলের পলিট ব্যুরো সদস্য মানিক সরকার, সিআইটিইউ'র ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক শঙ্কর প্রাসাদ দত্ত প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানিক সরকার বলেন, আট ঘণ্টা কাজ আট ঘণ্টা বিশ্রাম এবং আট ঘণ্টা বিনোদন- এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রথম শ্রমিকরা আন্দোলনের শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারেন পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় থেকে এই নীতিকে যথাযথভাবে কার্যকর করা সম্ভব হবে না। তাই তারা পুঁজিবাদী সমাজকে ধ্বংস করে নতুন শ্রেণীহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, এখনো শ্রমিক সমাজ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মে দিবস পালন করছে। কিন্তু এই লড়াইকে যাতে এগিয়ে না নিয়ে যাওয়া যায়, সেজন্য আন্দোলনকে বিপথগামী করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই লড়াই একদিনে করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ভারতের বেশিরভাগ মানুষ শোষণ ও বঞ্চনার শিকার। তাদের সবাইকে এই লড়াইতে নিয়ে আসতে হবে এবং পুঁজিবাদী শক্তিকে ভোটের ময়দানে হারিয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। এ বিষয়ে মানুষ সম্পূর্ণভাবে অবগত নন।
মানিক সরকার বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের কর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ চলছে, তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘরের সামগ্রী লুট করা হচ্ছে। কাজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করার জন্য সাধারণ মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে এবং ক্ষমতার পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, অসম্ভব কিছু নয়, সাধারণ মানুষের ভোটেই নেতা-নেত্রীরা জয়ী হয়েছেন। সাধারণ মানুষ মনস্থির করলে তাদের সহজে পরিবর্তন করা যাবে। মহান মে দিবসে এই হোক অঙ্গীকার। বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের পদচ্যুত করার জন্য মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
এসসিএন/আরএইচ