ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

লাইফ সাপোর্টে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
লাইফ সাপোর্টে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।  

শনিবার(২৯ জুলাই) রাত বাড়তেই খারাপ খবর আসে কলকাতার উডল্যান্ড হাসপাতাল থেকে।

লাইফ সাপোর্টে (ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে) রাখা হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ার কারণে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ হয়েছে। সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের মাত্রা যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় ৫ বা তার নিচে থাকা উচিত, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০, যার অর্থ মারাত্মক সংক্রমণ।

ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে গুরুতর সংক্রমণের কারণে শনিবার সকাল থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। বিকেলেই তাকে উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, রাখা হয় হাসপাতালে ৫১৬ নম্বর কেবিনে। সন্ধ্যার দিকেও অবস্থা স্থিতিশীল ছিল বলে চিকিসকেরা জানিয়েছিলেন।  

চিকিৎসায় ধীরে ধীরে সাড়াও দিচ্ছেলিনে তিনি। রক্তচাপ খানিকটা বেড়েছিল, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৬৯ থেকে বেড়ে হয় ৯০ হয়। অন্যান্য শারীরিক প্যারামিটারগুলিও ঠিক হতে থাকে। সি-প্যাপ সাপোর্টে ছিলেন তিনি, দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেন। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

তবে মধ্যরাতেই হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় তার অবস্থা মোটেও সঙ্কটমুক্ত নয়। এই মুহূর্তে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। প্রথমে তাকে ‘নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে’ রাখা হয়েছিল। কিন্তু, রাত বাড়তেই লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বহুবছর ধরেই ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। সিওপিডি রয়েছে তার। শ্বাসের সমস্যা মাঝেমধ্যেই তাকে সমস্যায় ফেলত। ২০১৮ সাল থেকে বাড়িতেই একটি পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডারের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা শ্বাসপ্রশ্বাস নেন তিনি।  

এই অবস্থায় গত বুধবার থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন বুদ্ধদেব। শুক্রবার থেকেই তার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে স্যালাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছিল অ্যান্টিবায়োটিক। আর শনিবারই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫১ ঘণ্টা, ৩০ জুলাই, ২০২৩
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।