ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ফের ১৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক এক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
ফের ১৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক এক 

কলকাতা: সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) উদ্ধার করেছে ১৬টি স্বর্ণের বারসহ একজন পাচারকারীকে। জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন ১৯৮৯.১৮০ গ্রাম।

মূল্য ১,১৮,৭৫,৪০৫ রুপি।  

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফতেহপুর গ্রাম সংলগ্ন ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের অধীনে ৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি মাহিন্দ্রার বিএসএফ সদস্যরা স্বর্ণের বারসহ ওই পাচারকারীকে আটক করে। স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফ সদস্যরা ওই সীমান্তে নজরদারি বাড়ায়।

স্থানীয় সময় সকাল ১১.২০ মিনিটের দিকে কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষা জমি চাষ করার পরে ভারতীয় সীমান্তের দিকে ফিরে আসা এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে থামিয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় বিএসএফ।

এসময় ওই ব্যক্তির টিফিন বক্স থেকে ১৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এরপরই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসা হয়।

জেরা করে জানা যায়, আটক পাচারকারীর নাম মনোহর বিশ্বাস (৫২)।  তিনি নদীয়া জেলার হাঁসখালী থানার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনোহর জানান, একদিন আগেই তার গ্রামের বাসিন্দা হারু ঘোষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হারু ঘোষই তাকে বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ আনতে রাজি করান।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে তিনি কাঁটাতারের বেড়ার সামনে অবস্থিত তার খামারে গিয়েছিলেন। এসময় মহেশপুর থানার চাপতলা গ্রামের বাসিন্দা মধু মিয়া তাকে জিরো লাইনের কাছে ১৬টি স্বর্ণের বার দিয়েছিলেন। এরপর দুপুরের খাবারের টিফিন বক্সের ভেতর ওই স্বর্ণের বার লুকিয়ে রাখেন। সফলভাবে স্বর্ণের বার ডেলিভারিতে, হারু ঘোষের কাছ থেকে ১,০০০ রুপি পাওয়ার কথা ছিল মনোহর বিশ্বাসের। কিন্তু সীমান্ত অতিক্রম করার সময় বিএসএফ তাকে ধরে ফেলে।

পরে আটক পাচারকারীকে জব্দকৃত স্বর্ণসহ নদীয়া জেলার মাজদিয়ার শুল্ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আন্তর্জাতিক সীমান্তে জওয়ানদের এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি (জনসংযোগ) এ কে আর্য।  
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেছেন, বিএসএফ চোরাকারবারিদের প্রতিটি ঘৃণ্য কাজের বিরুদ্ধে তাদের নজরদারি আরও বাড়িয়েছে। চোরাকারবারিদের প্রতি তার হুঁশিয়ারি, চোরাকারবারিরা যেন চোরাচালানের পথ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে যোগ দেয়। অন্যথায় ঘৃণ্য উদ্দেশ্য পোষণ করে রাখা কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।

স্বর্ণ চোরাচালান ঠেকাতে এই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য দেওয়ার জন্য সীমান্তে বসবাসকারী মানুষদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ ব্যবহার করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যায়।

সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কার এবং ওই ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।