ঢাকা: দীর্ঘ এক দশক পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় ‘৭ রেসকোর্স রোড’ (পঞ্চবটি) ছাড়লেন ড. মনমোহন সিং। বিদায় বেলায় নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন নয়া সরকারকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন তিনি।
মনমোহনের টানা ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের ইতি ঘটলো শনিবারই। দুপুরে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, দুই দফায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রিত্বে’র অভিযোগ বারবার তুলেছে বিরোধীরা। কিন্তু এ অর্থনীতিবিদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বা সততা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেনি কেউই
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া নিজের বিদায়ী ভাষণও অল্প কথায় শেষ করেন মনমোহন।
হিন্দি ও ইংরেজি দুই ভাষায়ই দেওয়া ভাষণে তিনি দেশের মানুষের রায়কে সম্মান জানিয়ে তা নতশিরে মেনে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
তার নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের এক দশকের কর্মযজ্ঞের সাফল্য দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সাধ্যের মধ্যে সবটুকু করেছি। আমার ব্যক্তিগত কর্মজীবনও স্বচ্ছ ছিল। ইউপিএ’র এই ১০ বছরে ভারত অনেক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছে।
ত্রয়োদশতম প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তার নেতৃত্বাধীন নয়া সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন মনমোহন।
শনিবার শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মনমোহন। বৈঠকে বিদায়ী মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ার পর সহকর্মীদের জন্য চায়ের আসরের আয়োজন করেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনমোহনের স্ত্রীও।
সবশেষে রাতে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেবেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর বিদায়ের পর ২০০৪ সাল থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ করেন মনমোহন। বিশ্ব পরাশক্তি হয়ে ওঠা ভারতে টানা দু’দফায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এ অর্থনীতিবিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪