নয়াদিল্লি থেকে: আগামী জুন পর্যন্ত ভারতের নতুন সরকার গঠনে ব্যস্ত সময় পার করবে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন (বিজেপি) এনডিএ জোট।
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পরে ইতোমধ্যে বিজেপির সংসদীয় কমিটি নরেন্দ্র মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় প্রস্তাব পাশ করেছে।
এবার গঠন করতে হবে কেবিনেট। সে লক্ষ্যে আগামী ২০মে একই কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অধ্যক্ষ রাজনাথ সিং।
শিগগির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলকে সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রন জানাবেন।
এদিকে শনিবার ও রোববার সরকারি ছুটি হওয়ায় সোমবারই গেজেট প্রকাশ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেটি রাষ্ট্রপতির হাতে গেলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ট আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন।
এর আগে সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতা, স্পিকার নির্বাচন সারবে বিজেপি। এসব প্রক্রিয়াসহ সংসদদের শপথ প্রক্রিয়া আগামী ৪ জুন পর্যন্ত সরকার গঠনের চলতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এছাড়া আগামী ২০মে বিজেপির সংসদীয় কমিটির সভায় সংসদ নেতা, স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে।
শনিবার বিজেপির মুখপাত্র বিজয় শংকর শাস্ত্রি বাংলানিউজকে বলেন, দলের সব নেতাকেই তাদের যোগ্য সম্মান দিয়ে একটি কার্যকরী সরকার গঠন করবেন নরেন্দ্র মোদী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেত্রী সুষমা স্বরাজের হাতেই যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া অরুণ জেটলি, নিতীন গাডকারী এবং এলজেপির নেতা রাম বিলাস পাসওয়ানসহ সিনিয়র নেতারাও মোদী সরকারের মন্ত্রিত্ব পেতে যাচ্ছেন বলে আলোচনা চলছে।
চাউর হচ্ছে, বিজেপির সিনিয়র নেতা এলকে আদভানিকে স্পিকার করা হতে পারে। আর বিজেপি প্রধান রাজনাথ সিং থাকছেন মন্ত্রী পদমর্যাদায় সরকারের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান পদে।
সূত্র জানায়, আগামী ২২মে নতুন সরকারের শপথ হতে পারে। যদিও রাজনাথ সিং সংবাদ সম্মেলনে সে কথা অস্বীকার করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, আগামী ২৭মে ১৬তম লোকসভার কার্যক্রম শুরু হবে। ২৭ থেকে ২৯মে এমএলএদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২ জুন সংসদে স্পিকার নির্বাচনের পর ৪জুন যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন।
এদিকে কংগ্রেসকে বিপুল আসনে হারিয়ে শনিবার প্রথমবারের মত দিল্লি আসেন মোদী। এ উপলক্ষ্যে দিল্লি পরিণত হয় গেরুয়ার উৎসবের নগরীতে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪