কলকাতা: বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তৃণমূলের কোনো প্রতিনিধি যাবেন কিনা সেটা এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি।
নবান্ন সূত্রে খবর, ইতোমধ্যেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছেছে ।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ হাজার অতিথি হাজির থাকবেন মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। এর মধ্যেই আমন্ত্রণ পাঠানো শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন রাজ্যে। আর যতদূর জানা গেছে অতিথিদের তালিকা প্রস্তুত করেছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী নিজে।
আলাদাভাবে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির তালিকাও। কংগ্রেসসহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পাঠানো হচ্ছে আমন্ত্রণ বার্তা।
তবে রাজ্য সরকারের তরফে কে যাবেন বা আদৌ কেউ যাবেন কিনা সেকথা এখন জানা যায়নি।
১৯৯৬ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল তৎকালীন শাসক দল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি-মার্কসবাদী (সিপিআই-এম) এর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। রাজ্য সরকারের তরফেও সেই সময় কেউ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তৃণমূল প্রধান ও পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীকে কোনো শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন বলে শোনা যায়নি।
ভোটের আগে মোদী-মমতা বাকযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছিল। একদিকে মোদী যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন তেমনি নরেন্দ্র মোদীকে ‘দাঙ্গার মুখ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গণতান্ত্রিক কাঠামোর গুরুত্ব মাথায় রেখে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখতে কতটা সচেষ্ট হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ২০ মে , ২০১৪