কলকাতা: জাপানি এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে মৃত্যু হলো আরও তিনজনের। তবে সরকারিভাবে দু’জনের মৃত্যুর কারণ এনকেফেলাইটিস বলা স্বীকার করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনকেফেলাইটিস আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাজপুরের প্রফুল্ল ঘোষ (৭৪) ও মালবাজারের কেম্বা খড়িয়া (৪৫) মারা যান।
তৃতীয় মৃত্যুর খবরটি পাওয়া যায় কলকাতা বিমানবন্দরের উপকণ্ঠে দমদম এলাকার পৌর স্পেশালটি হাসপাতালে। ৫১ বছরের বিশ্বজিত কর মারা যান রোববার। যদিও বিশ্বজিতের মৃত্যু এনকেফেলাইটিসে হয়েছে বলে এখনও মানছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, নতুন করে জাপানি এনকেফেলাইটিসের সংক্রমণের কোনো খবর নেই।
বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরেও থাবা বসিয়েছে জাপানি এনকেফেলাইটিস। পার্ক সার্কাসের একটি শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর খবর পাওয়া গেছে। মালদহের এক শিশুর শরীরেও জাপানি এনকেফেলাইটিসের খোঁজ মিলেছে বলে জানা যায়।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে কর্মরত বামপন্থী চিকিৎসক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের তিন কর্মকর্তার বদলি ঘিরে ছাত্র ও শিক্ষক মহলে ব্যাপক ক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এনকেফালাইটিস বিষয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে তারা প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই স্বাস্থ্য দপ্তর তিন চিকিৎসককে সরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ চত্বরে মিছিল-মিটিং-পোস্টারিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এরই প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ফের আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৪