ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা

মান্নান মারুফ ও ইশতিয়াক হুসাইন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৪
ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা

কলকাতা থেকে: বেনাপোলে নেমেই বুঝলাম, কপালে ভোগান্তি আছে। স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে আসেন সবাইকেই এই ভোগান্তি পোহাতে হয়।

আমরাইবা বাদ যাবো কেনো?

গ্রীনলাইন পরিবহনের কাউন্টারে নেমেই সেই ভোগান্তির আঁচ পেতে শুরু করলাম। প্রত্যেকের পাসপোর্ট জমা নেওয়া হলো। ভ্রমণ কর হিসেবে নেওয়া হলো জনপ্রতি ৫০০ টাকা।

পাসপোর্ট আর টাকা জমা দিয়ে বসে রইলাম। শাকিল নামে কাউন্টারে দায়িত্বরত এক যুবককে জিজ্ঞাসা করি, কতক্ষণ লাগবে?

তার নিস্পৃহ উত্তর, বসেন, যখনই সময় হবে তখনই ডেকে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশ কাস্টমসে নিয়ে যাবো।

অনিশ্চয়তা নিয়ে বসে থাকি। বেশকিছুক্ষণ পর আবারও জানতে চাই, আর কতক্ষণ বসে থাকতে হবে!



অস্থির হচ্ছেন কেন, সময় হলেই ডাকবো- এটুকু বলেই যেন দায় সারেন শাকিল।  

অপেক্ষা শেষে যাই বাংলাদেশ কাস্টমসে। পরিচিত এক ব্যক্তির সহায়তায় দ্রুতই কাজ শেষ হযে যায়।

দেশের কাস্টমস প্রক্রিয়া শেষে সীমান্ত পার হয়ে আসি ভারতে। ভারতীয় কাস্টমসে লম্বা লাইন। তবে দ্রুতই লাইন ছোট হতে লাগলো। মুহূর্তে কাস্টমস চেকিং সম্পন্ন করে পাশের আরেকটি ভবনে যেতে হবে। এটি ইমিগ্রেশন ভবন। এখানে ৬টি লাইনে কাজ চলছে। তারপরেও লাইনটা বেশ দীর্ঘ। বিশাল লাইন দেখে এবার ভড়কে যাই। ৬টি লাইনের মধ্যে একেবারে বাঁয়ের দিকে সবচেয়ে ছোট লাইনে দাঁড়াই আমরা।  

একে একে আমরা পৌঁছে যাই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার সামনে। পাসপোর্ট দিলেন মারুফ ভাই। পেছনে আমি। দেখতে অতটা সুশ্রী নয়। অথচ এই ব্যক্তিই পাসপোর্টটি হাতে নিয়ে মুচকি হেসে দিলেন।

বললেন, দাদা, আপনারা মিডিয়ার লোক। কোথায় কাজ করেন।

বাংলানিউজের কথা বলতেই আমাদের ভিজিটিং কার্ড চাইলেন। বিষয়টিতে আমরা একটু অবাক হলাম। আমাদের ভাবনার মধ্যেই তিনি বললেন, একটি কার্ড দিন, যেকোনো সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশের খোঁজ খবর নিলেন। আমাদের দেশ সম্পর্কে দারুণ আগ্রহ দেখলাম। মনে হলো তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো জানতে চান। ওদিকে পেছনে বিশাল লাইন। তাই বেশিক্ষণ যে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন, সেটিও সম্ভব নয়। ওনার নাম জানতে চাইলে সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি পরিচয়টি দিলেন না। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের ব্যবহারে অবাকই হলাম।  

এবার তিনি জানতে চাইলেন, কনফারেন্সে যাচ্ছেন কিনা। বললাম না, ভারত সম্পর্কে রিপোর্টিং করবো। এরপর কোথায় কোথায় যাবো সে সম্পর্কে জানতে চাইলাম। দ্রুতই ওই কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপচারিতা শেষে বেরিয়ে এলাম।    

এখান থেকে বেরিয়ে গেলাম ডলার রুপি করাতে। আভারাণী ট্রেডার্সের শংকর ঘোষের কাছ থেকে ডলার ভাঙিয়ে গেলাম সিম কিনতে। সেখানেও একজন বাংলাদেশি হিসেবে খাতির যত্মই পেলাম। ভারতীয় নাগরিকদের এই আতিথেয়তা পেলাম কলকাতার সত্যেন দা’র কাছেও।   

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৪

** আহমেদাবাদের কাপড় জগতে নয়া মনীষা রাণী!
** মোদীর গুজরাট উন্নয়নের আইকন ‘গিফটসিটি’
** চকচকে পরিপাটি ‘গান্ধীনগর’
** আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
** ঘুরে আসি আজমীর
** দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই!
** দিল্লির রাতে সস্তা দোকানিরা...

** মাকরানার হোয়াইট মার্বেলেই অনিন্দ্য তাজমহল

** দিল্লির আশীর্বাদ দিল্লি মেট্রো,ঢাকা মেট্রো কবে

** অ্যারাভেলি পর্বতে ঘেরা ভ্রাতৃত্ব

** ৩৬ ঘণ্টার বিচিত্র রূপ!

** ইন্টারনেটে বাংলাদেশ এগিয়ে

** সেই তো আমরাই!
** লাইফলাইন অব ইন্ডিয়া
** দিল্লি কত দূর?
** গ্রীনলাইনে ভুগতে ভুগতে কলকাতা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।