ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদী ভক্ত তারুণ্য

মান্নান মারুফ ও ইশতিয়াক হুসাইন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪
মোদী ভক্ত তারুণ্য ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত থেকে: ‘ম‍ুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের অনেক উন্নয়ন করেছেন। এখন উনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

এবার চাই সারাদেশের উন্নয়ন। তবে গুজরাটের মতো কাঙ্খিত উন্নয়নের জন্য দুই থেকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে চাই। ’ 

কথাগুলো বলছিলেন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাদেজা শৈলেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের প্রতি তার আস্থা এতটাই যে তাকে একাধিকবারের জন্য বর্তমান পদে দেখতে চান। নরেন্দ্র মোদীর প্রতি এতটা আস্থা কেন জানতে চাইলে জাদেজা বলেন, আমাদের এই আস্থার প্রতিদান তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে দিয়েছিলেন। তাই ওনার প্রতি এই বিশ্বাস জন্মেছে।    

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আহমেদাবাদ শহরেই গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ২৬০ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখের বেশি। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকেই হাতের বাম পাশে লাল রঙের ভবন। ভবনের বিপরীতে কিছুদূরে আরেকটি ভবন, পাশে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠ। ওপাশে শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেল রাখার গ্যারেজ। সেখানে কয়েকশ’ মোটরসাইকেল রাখা।

মাঠের সবুজ ঘাসে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন জাদেজা, ওয়াসিম আনসারী, কীর্তি, ইশা, খুশি, সমীর। ৬ বন্ধুর আড্ডাতে ঢুকে যাই আমরা। গত কয়েকদিনে গুজরাট প্রদেশের বিভিন্ন শহর গ্রাম ঘুরে মনে হলো বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে তো কথা হয়েছে। কিন্তু মোদী সম্পর্কে তরুণ প্রজন্ম কি ভাবছে, তা তো জানা হলো না। তরুণদের ভাবনা সম্পর্কে জানতেই গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা।  



নরেন্দ্র মোদীর কাজ সম্পর্কে কি জানেন যে এতটা আস্থা রাখছেন- জাদেজাকে এমন প্রশ্ন করতেই বললেন, কোন সেক্টর সম্পর্কে জানতে চান। কোথায় তার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তিনি তো অলরাউন্ডার। দু’একটি উদাহরণ দিতে বললে জাদেজা বলেন, রাস্তাঘাট, পানি সরবরাহ, কৃষি, খাদ্য সবখানেই তিনি সাফল্য এনেছেন।

গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই কি তার প্রতি একটু বেশি টান কাজ করছে, উত্তরে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাদেদা বলেন, মোটেই তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে তার প্রতি বাড়তি একটা ভালোলাগা তো রয়েছেই। কিন্তু সেটি অন্ধের মতো নয়।

আবারো তার উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি দিতে বললে এবার এগিয়ে এলেন একই বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আনসারি। আনসারির কথা, মোদী না হলে এই রাজ্যের কোনো উন্নতি হতো না। স্বাধীনতার পর গুজরাট যদি এগিয়ে থাকে তা বিগত ১৪ বছরেই এগিয়েছে।

জাদেজার বাড়ি গুজরাটে হলেও ওয়াসিমের বাড়ি উত্তর প্রদেশে। স্থানীয় না হয়েও মোদীকে এই সার্টিফিকেট কেন দিচ্ছেন? ওয়াসিম বলেন, ‘আমার প্রদেশের সঙ্গে তুলনা করেই এটি দিতে সুবিধা হচ্ছে। আমার প্রদেশ থেকেই কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী নির্বাচন করেন। তাদেরকে আমরা প্রতিবারই ভোট দেই। কিন্তু সেই অর্থে সেখানে কোনো উন্নয়ন হয়নি। অথচ গুজরাটকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়েছেন মোদী। যে কারণে আমিও তার কাজের প্রশংসা করতে বাধ্য হচ্ছি। ’  



ওয়াসিমের কথায় সায় দিলেন তদেরই বন্ধু ইশা, কীর্তি, খুশি, সমীর। সবার একটাই কথা- দল কিংবা ব্যক্তি হিসেবে পক্ষপাত নয়, নিরপেক্ষভাবে বললে উন্নয়নের জন্য মোদীর বিকল্প এই মুহূর্তে ভারতে দ্বিতীয় কেউ নেই।  

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর গুজরাটের উন্নয়নের বিষয়ে জাদেজা বললেন, মোদী তো অলরাউন্ডার। কারণ এই রাজ্যকে সবখাতেই তিনি এগিয়ে নিয়েছেন। গুজরাটকে শিল্প কারখানার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা, চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা, কৃষি প্রবৃদ্ধিতে সাফল্য এনেছেন তিনি।

কৃষির সাফল্যের বিস্তারিত জানতে চাইলে আগ বাড়িয়ে সমীর বললেন, তুলা, গম, ধান, লবণ, চিনি, তেল, গ্রান্টস, সানফ্লাওয়ারের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ মোদী কৃষকদের ভর্তুকি দিয়েছেন, কম দামে সার দিয়েছেন, ভাল বীজের ব্যবস্থা করেছেন, জমিতে সেচের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন।

একটি রাজ্যের উন্নতি করা আর এত বড় দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাফল্য পাওয়া কি সহজ হবে- উত্তরে সবাই বললেন, আগে তাকে সময় দিন। তারপর দেখুন।     

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪

** ১১ রাজ্যে আলো দেয় গুজরাট
** গুজরাটে গ্রামে গ্রামে উন্নয়ন, ইন্টারনেট
** বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যবন্ধনে এবি ব্যাংকের মুম্বাই শাখা
** সবরমতির তীরে প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত
** নর্মদার পানিতে স্বচ্ছ সবরমতি, মেঘনার পানিতে বুড়িগঙ্গা কবে?
** মোদীর হাতে ‘সবরমতি’র নতুন প্রাণ
** মোদীর গুজরাট উন্নয়নের আইকন ‘গিফটসিটি’
** চকচকে পরিপাটি ‘গান্ধীনগর’
** আহমেদাবাদ থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছে ব্লাড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
** ঘুরে আসি আজমীর
** দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই!
** দিল্লির রাতে সস্তা দোকানিরা...

** মাকরানার হোয়াইট মার্বেলেই অনিন্দ্য তাজমহল

** দিল্লির আশীর্বাদ দিল্লি মেট্রো,ঢাকা মেট্রো কবে

** অ্যারাভেলি পর্বতে ঘেরা ভ্রাতৃত্ব

** ৩৬ ঘণ্টার বিচিত্র রূপ!

** ইন্টারনেটে বাংলাদেশ এগিয়ে

** সেই তো আমরাই!
** লাইফলাইন অব ইন্ডিয়া
** দিল্লি কত দূর?
** ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা
** গ্রীনলাইনে ভুগতে ভুগতে কলকাতা
** দিল্লি নয়, মোদী আছেন গুজরাটেই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।