ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতের সঙ্গে ফের রেলসংযোগ সচল করবে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪
ভারতের সঙ্গে ফের রেলসংযোগ সচল করবে বাংলাদেশ

ঢাকা: ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ভারতের সঙ্গে পরিত্যক্ত রেলপথ যোগাযোগ ফের সচল করবে বাংলাদেশ। এতে করে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।



এ ছাড়াও রেল সংযোগ পুনঃস্থাপিত হলে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক আরো উষ্ণ হবে।

বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার একটি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সে দেশের সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রেল যোগাযোগ পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। আমরা এই রেল যোগাযোগকে ফের স্থাপন করতে চাই।

তিনি বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগের মাধ্যমে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রেল সংযোগের প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

রেলপথ তৈরি ও পুনঃসংস্কারের কাজে দুই দেশের আগ্রহ আছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলপথ সংযোগ তৈরির কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, শুরু করা হবে। দুই দেশই এই বিষয়টির ওপর খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে।

এ বিষয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত রেলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা  বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দুইশ ৫২ কোটি রূপি ব্যয় হবে।

তিনি বলেন, দ্য ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কন্সট্রাকশন কোম্পানি (আইআরসিওএন) দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় রেলপথ স্থাপনের কাজ করবে।

তিনি বলেন, ১৫ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে পাঁচ কিলিমিটার ভারতে ও বাকি ১০ কিলিমিটার বাংলাদেশের আখাউড়ায় পড়েছে।

মন্ত্রী মুজিবুল হক এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশে ১২টি রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে।

তিনি জানান, এই প্রকল্পের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী ও খুলনা-মংলা রেলপথ বর্ধিতকরণসহ ১২০টি কোচও তৈরি করা হবে।

মন্ত্রী জানান, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভারত সফরে নয়াদিল্লি আসেন, তখন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ে সঙ্গে তার বৈঠক হয়।

এই বৈঠকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা জানায় ভারত। এর মধ্যে রেল ও সড়ক যোগাযোগও রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ উন্নয়নে এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে মিটার গেজ ও ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। এতে করে দেশের অভ্যন্তরে যেমন, তেমনি ভারতের সঙ্গেও রেলযোগাযোগ বাড়বে।

ফলে, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।