কলকাতা: জঙ্গি আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের নেতাদের কড়া সমালোচনা করেছেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিএম-মার্ক্সিস্ট) প্রভাবশালী নেতা ও বাম শ্রমিক সংগঠন সিটুর রাজ্য শাখা সবাপতি শ্যামল চক্রবর্তী।
সোমবার স্থানীয় একটি মিলনায়তনে প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামী সুকুমার সেনগুপ্ত স্মারক বক্তৃতায় তিনি এ সমালোচনা করেন।
শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, প্রতিবেশী দেশের সরকার যখন একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে জঙ্গিদের নির্মূল করছে, তখন শাসক দলের কিছু লোক জঙ্গিদের রাজ্যে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভয়ঙ্কর সর্বনাশ ডেকে আনছেন।
তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, জঙ্গিরা এ রাজ্যে ঘাঁটি গাড়ছে আর তাতে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। সারদা-কাণ্ডেও তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে। জঙ্গি-কাণ্ডেও তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে।
শ্যামল আরও অভিযোগ করেন সংখ্যালঘুদের ভোট পেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনৈতিক বিষয়কে মদত দিচ্ছেন। আবার কেন্দ্রীয় তদন্তের বিরোধিতা করছেন।
মমতাকে উদ্দেশ্য করে শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, বামফ্রন্টের শাসনকালে কিছু হলেই সিবিআই, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করতেন। এখন বিরোধিতা করছেন কেন?
তিনি প্রশ্ন তোলেন, অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সেনা, কেন্দ্রীয় উদ্ধারকারী দল নেমেছে। সেই রাজ্য কি বিরোধিতা করবে, না কেন্দ্র সরকার রাজ্যের অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকবে?
তিনি দাবি করেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রের দ্রুত হস্তক্ষেপ দরকার।
তিনি রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূলের সুবিধাবাদী ভোট ব্যাংকের সঙ্কীর্ণ রাজনীতির জন্য পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তির ভিত শক্ত হচ্ছে। দাঙ্গাকারীদের শক্তি বাড়ছে। কিন্তু দাঙ্গা হলে নিরীহ মানুষজনের ক্ষতি হবে।
শ্যামলের দাবি, বামপন্থিরাই একে রুখতে পারবে।
তিনি আশা করেন, সঙ্কীর্ণ সাম্প্রদায়িকতা থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতে পারবে। মানুষ এক হলে জঙ্গিরা আর ঘাঁটি গাড়তে পারবে না।
এসময় সিপিএম’র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকারসহ বাম নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৪