কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণ তদন্তে নেমে বড়সড় সাফল্য পেলো ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। বর্ধমানকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত জিয়াউল হককে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটির গোয়েন্দারা।
শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা জিয়াউল হক খাগড়াগড়েই ডেরা গেড়েছিল। বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে উঠে আসা শিমুলিয়া মাদ্রাসা এবং মুকিমনগর মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন এই জিয়াউল হক। সেই সঙ্গে অন্যতম অভিযুক্ত রেজাউল করিমের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, গ্রেফতার জিয়াউল হকের কাজ ছিল তরুণ-তরুণীদের জেহাদি পথে নিয়ে আসা। শীর্ষ জামাত-উল-মুজাহিদিন নেতা সাজিদ এবং সাকিবের ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তি।
গুজরাট দাঙ্গা এবং মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের হত্যার ছবি দেখিয়ে জেহাদি মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করতো এই জঙ্গি নেতা।
মালদায় তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এনআইএ গোয়েন্দারা একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। আর তা থেকে আলামত সংগ্রহের কাজ করছে এনআইএ।
অন্যদিকে, অসমে গ্রেফতার করা হয়েছে এ ঘটনায় অন্য এক সন্দেহভাজন সাজানা বিবিকে। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শাহানূর আলমের স্ত্রী সাজানা। অসমের বরপেটার বাসিন্দা শাহানূর।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৪