কলকাতা: সারদা গোষ্ঠী এবং অন্যান্য বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থে টলিউডের একাধিক চলচ্চিত্র এবং সিরিয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
আর এসব চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন সিরিয়ালগুলোকে তদন্তের আওতায় আনতে চলেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-সিবিআই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারদা গোষ্ঠীর বিপুল পরিমাণ অর্থ কলকাতার বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল তৈরিতে লগ্নি করা হয়েছিল। এসব জানার পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় গোয়েন্দারা।
অবৈধ অর্থ লেনদেনের ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৪ সালের জুনে। ভারতের প্রতিবেশী একটি দেশের ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় শাখা গোয়েন্দাদের এসব তথ্য দিয়েছে বলে সূত্র জানায়।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কলকাতার প্রথম সারির একজন নায়িকা প্রতিবেশী দেশে একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। ওই বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের সময় বিষয়টি নজরে আসে গোয়েন্দাদের।
শুধু তাই নয়, একজন বলিউড তারকারও দেশের বাইরে করা অনুষ্ঠানের অর্থ নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় কর্মকর্তাদের।
টলিউড সূত্র জানায়, ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টলিউডে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে পায়। যা বিগত ৫০ বছরের তুলনায় অনেক অনেক বেশি।
বেশ কিছু বেআইনি আর্থিক সংস্থা সরাসরি এবং বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি আড়ালে রেখেও চলচ্চিত্রে অর্থ বিনিয়োগ করেন। এসব চলচ্চিত্রের মধ্যে বেশ কয়েকটি ফ্লপ হয়েছে। ব্যবসা সফল না হলেও এর প্রভাব পড়েনি প্রযোজকদের ওপর।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছেন তারা। কোন মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছিল তাও খুঁজে বের করা হবে।
এদিকে সারাদা কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ৪ মার্চ কলকাতার সিনেমার নায়ক ও সংসদ সদস্য তাপস পালের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। ‘রোজভ্যালি’ নামের একটি বেআইনি আর্থিক সংস্থার চলচ্চিত্র বিভাগের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগে উঠেছে।
টলিউডের ২৬টি চলচ্চিত্রের ওপর নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, শুধু বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয়, অজানা সূত্র থেকে আসা অর্থেও নির্মিত হয়েছে এসব ছবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫