কলকাতা: বামফ্রন্টের ডাকা ১২ ঘণ্টার ও বিজেপির ডাকা ১০ ঘণ্টার হরতালে মিশ্র প্রভাব পড়েছে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গে।
কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় হরতাল সমর্থক এবং হরতাল বিরোধীরা মিছিল করেছে।
সকালের দিকে খুব কম সংখ্যক বাস এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সড়কে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস ছিলো না বললেই চলে। তবে সরকারি বাস চলাচল করলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রেল অবরোধের খবরও পাওয়া গেছে।
শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি ও বাস কম থাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানা গেছে। তবে একটি সরকারি বাসে হরতাল সমর্থকদের হামলার খবর পাওয়া গেছে।
হাওড়া শিল্পাঞ্চলের রানিগঞ্জের কয়লা খনি অঞ্চলে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সেখানে সিপিএমের মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে হরতালে কলকাতার বেশ কয়েকটি পোস্ট অফিস বন্ধ রয়েছে। রাজ্য সরকার নোটিশ জারি করলেও পোস্ট অফিস কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন হওয়ায় বিজেপি এবং বামফ্রন্টের ডাকা হরতালে সমর্থন জানিয়ে অফিস বন্ধ রেখেছেন সেখানকার কর্মচারীরা।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শাসক দলের সঙ্গে সিপিএম কর্মীদের হাতাহাতি হয়। অন্যদিকে সরকারি অফিসগুলোতে হাজিরা বাধ্যতামূলক করায় অনেক সরকারি কর্মচারী খুব ভোরেই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সরকারি বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকলেও সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। অধিকাংশ বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে।
কলকাতার আইটি শিল্প তালুক সল্টলেকে অনেকেই ছুটির মেজাজে বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন।
কলকাতায় সকালের দিকে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও শহরতলীর রেল চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে যাত্রী সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় অনেক কম ছিল। শহরতলীর কয়েকটি স্থানে হরতাল সমর্থকরা রেল অবরোধের চেষ্টা করলেও পুলিশ অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।
পশ্চিমবঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর জোট বামফ্রন্ট বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টার এই হরতাল ডাকে। একইদিন ১০ ঘণ্টার হরতাল (বনধ) আহ্বান করেছে বিজেপিও।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
এসএন/আরআই