ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘কিরণমাল‍া’র অস্তিত্ব নেই কলকাতার ঈদবাজারে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
‘কিরণমাল‍া’র অস্তিত্ব নেই কলকাতার ঈদবাজারে!

কলকাতা: কলকাতায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। নিউমার্কেট, হাতিবাগান, ধর্মতলা, গড়িয়াহাট প্রভৃতি যায়গায় শেষ মুহূর্তের কেনাক‍াটায় ব্যস্ত সবাই।

তবে বাংলাদেশের ঈদবাজারের আলোচিত ভারতীয় পোশাক ‘কিরণমালা’র দেখা নেই কলকাতায়।

ভিড়ের নিরিখে প্রতি বছরের মতো এবারও সবার থেকে এগিয়ে কলকাতার নিউ মার্কেট। এর পরেই বিখ্যাত চিতপুর বা কলুটোলা বাজার। কলকাতার নাখোদা মসজিদের পাশে এ বাজারেও ঈদের কেনাকাটির জন্য যথেষ্ট ভিড় থাকে।

কলকাতার ঈদবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেষ পর্যায়ের কেনাকাটা সারতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। দোকানে দোকানে ঘুরে নিজের পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছেন প্রচুর মানুষ।

শুধু কলকাতা নয়, হাজির হয়েছেন জেলার ক্রেতারাও। জানা যায়, পুরুষদের পোশাকের মধ্যে শেরওয়ানির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তার সঙ্গে আছে ‘মোদি কোট’। নারীদের পোশাকে আনারকলি চুড়িদারের চাহিদা তুঙ্গে।

কলকাতার সবক’টি বাজারে ঘুরে ‘কিরণমালা ড্রেস’–এর বিস্তর খোঁজ করার পরেও সন্ধান পাওয়া গেলো না। দোকানিরা জানালেন এ ধরনের পোশাকের খবর তাদের জানা নেই। কলকাতার নিউ মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেল বেশ কয়েকজন ক্রেতা 'কিরণমালা ড্রেস’–এর খোঁজ করেছেন কিন্তু এ নামের পোশাক তাদের দোকানে নেই।

পাইকারি পোশাক বিক্রেতার জানাচ্ছেন, অনেক সময় খুচরো বিক্রেতারা পোশাকের নতুন নতুন নামকরণ করেন।

ঈদের বাজারে নানা ধরনের নকশা করা টুপির চাহিদা যথেষ্ট বেশি। বাংলাদেশ ও তুর্কি থেকে মূলত টুপি এসেছে বাজারে। হরেক নকশার, হরেক মাপের। দাম ৪০ রুপি থেকে ২০০ রুপি পর্যন্ত। কথা বলে জানা যায়, সাদা তুর্কি বা চাঁদ- সিতারা টুপি যুবকদের প্রথম পছন্দ।

চাহিদা আছে আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা বিশেষ নকশাকাটা টুপিরও। জরির কাজ ও বরকতি টুপির বিশেষ চাহিদা বেড়েছে এ বছর। এছাড়া  পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি থেকে শুরু করে নামি- দামি ব্র্যান্ডের শার্ট, জিন্স, টি-শার্ট, জুতো সব কিছুর দোকানেই প্রবল ভিড়।

প্রসাধনীর দোকানগুলিতে প্রায় তিল ধারণের জায়গা নেই। তবে ইফতারের জন্য এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে কিছু কিছু দোকান। নিউমার্কেট ছাড়া বাকি বাজারগুলি প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। শেষ দু’দিনে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।