ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘ধূতি-পাঞ্জাবি পড়বেন মন্ত্রীরা’

বাংলা ভাষায় শপথ নেবেন মমতা

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১১
বাংলা ভাষায় শপথ নেবেন মমতা

ডালহৌসি (কলকাতা) থেকে: পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার প্রথাগতভাবে বাংলা ভাষায় শপথ নেবেন। যদিও ৬টি ভাষায় শপথ বাক্য প্রস্তুত করা হয়েছে।



শপথ অনুষ্ঠানের জন্য রাজভবন প্রাঙ্গনে সবুজ ও সাদা কাপড় দিয়ে তৈরি হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল।

অনুষ্ঠানের মঞ্চসজ্জাতেও থাকছে শৈল্পিক ছোঁয়া।

মূলমঞ্চে ওঠার পথে বিশাল তামার পাত্রে ভরা থাকবে রাশি রাশি জুঁইফুল। তার সামনে মঙ্গলঘট। মূলমঞ্চের সামনে ফুলের সজ্জা। সিঁড়ি থাকবে ফুলে মোড়ানো।

সবুজ-সাদা কাপড়ের মূল মঞ্চের দেওয়ালও সাজানো হচ্ছে সাদা শোলার (ককসিট) কদমফুল দিয়ে।

মূখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের শপথ নেওয়ার জন্য এরইমধ্যে ভারতের ১৮টি জাতীয় ভাষার মধ্যে বাংলাসহ হিন্দি, ইংরেজি, সাঁওতাল, উড়িয়া ও উদুসহ ৬টি ভাষায় শপথ বাক্য প্রস্তুত করার কথা জানায় রাজভবন সূত্র।

মমতা ব্যানার্জি প্রথাগতভাবে বাংলাতেই শপথ নেবেন। এর আগে বিগত বাম সরকারের মূখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরাও বাংলাতেই শপথ নেন।  

মমতা ব্যানার্জি চিরাচরিত হালকা সবুজ পাড়ের সাদা শাড়ি ও হাওয়াই চটি পরিধান করেই রাজভবনে আসবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

তবে অন্য মন্ত্রীদের পাঞ্জাবি ও ধূতি পরে আসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে পৌনে একটার দিকে। বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে মঞ্চে উঠবেন রাজ্যপাল।

প্রথমে বাজবে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমনো অধিনায়ক জয় হে..’।

১টা ১ মিনিটে শুরু হবে মমতার ‘মূখ্যমন্ত্রী’র শপথ। আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ইংরেজিতে শপথ পড়াবেন, মমতা তা পাঠ করবেন বাংলায়।

বেলা সোয়া একটার মধ্যে মধ্যে অন্য মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন হবে।

সবার শপথ নেওয়ার পরে জাতীয় সঙ্গীতের আগে ‘নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়’ রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া হবে।

শমীক পাল গাইবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত। এটি পরিবেশনের জন্য মূল মঞ্চের পাশে ছোট পৃথক মঞ্চ তৈরি হয়েছে, যেখানে টেবিলের ওপর শমীক পালের জন্য থাকবে হারমোনিয়াম।

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারী বৃষ্টির পর প্যান্ডেল কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা জরুরিভিত্তিতে কাজ করে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ত সচিব অজিত রঞ্জন বর্ধন বলেন, প্রায় ৩২০০ আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিআইপি, গণমাধ্যম ও অতিথিদের জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা থাকছে।

নিরাপত্তার বিষয়গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়েও দেখছে কলকাতা পুলিশ। রাজভবনসহ কলকাতা শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কলকাতা পুলিশের কমিশনার রণজিৎ পচনন্দা।
 
রাজভবন সূত্র জানায়, সকাল ১০টা থেকে অতিথিদের রাজভবনে প্রবেশ শুরু হবে। নির্ধারিত আমন্ত্রণপত্র ছাড়া কেউই রাজভবনে যেতে পারবেন না। গাড়িও সেদিন প্রবেশ করতে পারবে না। রাজভবনসহ আশেপাশের এলাকাগুলোর সড়ক শুক্রবার সকাল থেকেই ‘নো-এন্ট্রি’ করা হবে।  

এদিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় বিভিন্ন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কলকাতার যৌনকর্মী থেকে শুরু করে রিকশাচালক, অটোচালকসহ শ্রমজীবী মানুষদের প্রতিনিধিদেরও।

শপথ অনুষ্ঠানে আসছেন ১৯৭০ সালে সাঁইবাড়ি হত্যাকা-ের শিকার হওয়া পরিবারের সদস্যরা, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের পুলিশের গুলিতে নিহত পরিবারের সদস্যরা, সিঙ্গুরের টাটা কারখানার আন্দোলনে নিহত তাপসী মালিকের বাবা-মা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।