কলকাতা: ২১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গণে দলবেঁধে সিনেমা দেখার পাশাপাশি ফাঁকে ফাঁকে চলছে দর্শকদের আড্ডা। কখনও সেই আড্ডা জমছে মুক্তমঞ্চের সামনের বিখ্যাত হরির চায়ের দোকানে, কখনও রবীন্দ্র সদনের সিঁড়িতে, আবার কখনও বাংলা একাডেমির গাছের নিচে।
আড্ডায় গিটার নিয়ে কোথাও গানের সুরের সঙ্গে উঠে আসছে বিশ্ব সিনেমায় সঙ্গীতের ব্যবহার, কোথাও উঠে আসছে সিনেমা তৈরির বিভিন্ন দিক আবার কোথাও সমসাময়িক রাজনীতি, ইতিহাস।
তবে এসব আলোচনার কেন্দ্রে প্যারিসের ঘটনা। শুধু প্যারিস নয়, গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক ধর্মীয় মৌলবাদীদের হামলা প্রসঙ্গও উঠে আসছে।
এরকমই এক আড্ডায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মৌসুমি জানালেন, কালাসনিকভ নয়, ঝলসে উঠুক ক্যামেরা। এই ক্যামেরাই পারে গোটা বিশ্বকে একই সুতোয় বাঁধতে।
মুহূর্তে জন্ম নেওয়া বিতর্ক, যুক্তি-পাল্টা যুক্তির লড়াইয়ে মৌসুমির কথায় একমত সবাই। সবারই মত নিরীহ মানুষ হত্যা ধর্মের পথ হতে পারে না।
সিনেমা আজ শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, সিনেমাই দেখাতে পারে মুক্তির দিশা- জানালেন উত্তর কলকাতা থেকে চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমা দেখতে আসা দীপক।
এরই মাঝে রবীন্দ্র সদনের সামনে বসে গান ধরেছে একদল যুবক। সেই গানেও ভাসছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল সুর, ‘কেউ মালা কেউ তসবি গলে/তাইতে কি জাত ভিন্ন বলে/আসা কিংবা যাওয়ার কালে/ জাতের চিহ্ন রয় কারে?.... বামন চিনি পৈতা প্রমাণ বামনী চিনি কীভাবে? সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে?
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
ভিএস/আরএইচএস/এএ