ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে টানা বর্ষণে বিভিন্ন জেলায় বন্যা, পাহাড়ে ধস

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১১

কলকাতা: রাজ্য জুড়ে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফুলে ফেঁপে উঠেছে বেশ কিছু নদী।

নিচু এলাকা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়ে পড়েছে। রাজ্যের উত্তরের জেলা দার্জিলিং পাহাড়ে ধস নেমে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারির পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকায় অধিবাসীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মহাকরণে বিশেষ কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। রাজ্যের তিন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, হিতেন বর্মন ও গৌতম দেব পাহাড়ের পরিস্থিতি দেখতে দার্জিলিং গেছেন।

এদিকে রাজ্যে প্রবল বর্ষণে ইতিমধ্যেই হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, ঘাটাল, ডেবরা, দাসপুর, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর, শালতোড়া, শিমলাপাল, মালদহের বেশ কিছু অংশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার নিচু এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে হাটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমে গেছে।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সুন্দরবন এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অংশে ১৮৫টি স্থানে নদীর বাঁধে ফাটল ধরেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা অংশে ৪০০টি নদী বাঁধে ফাটল ধরেছে।

রাজ্যের গঙ্গা, মহানন্দা, কংসাবতী প্রভৃতি নদীতে জলস্তর বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশপাশের নিচু গ্রামগুলিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সকল প্রকার বিপর্যয় এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেশ কিছু এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে মহাকরণে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া, মনীষ গুপ্ত ও জাভেদ খানকে এই কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী ও দলীয় বিধায়কদের এলাকা না ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিভিসি, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার কর্তৃপক্ষকে একান্ত বাধ্য না হলে পানি না ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মী ও অফিসারদের।
 
দার্জিলিং জেলার পাহাড়ের কার্শিয়াঙে গত শুক্রবার ধসে ৩ শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার থেকে ব্যাপক ঝড় বৃষ্টির ফলে বিদ্যুৎ নেই দার্জিলিং শহর, কালিম্পং ও কার্শিয়াঙে।

রোববার রাত সাড়ে ৮টার সময় কালিম্পং এর কাছে বিরিকধারায় ৩১ এ জাতীয় সড়কে ধস নেমে ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সিকিম।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, হুগলিসহ বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘন্টা, জুন ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।