ঢাকা, শনিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জুন ২০২৪, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জয়ার ‘শবর’, শাকিবের ‘শিকারী’

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
জয়ার ‘শবর’, শাকিবের ‘শিকারী’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: এই মুহূর্তে কলকাতার প্রত্যেকটি প্রেক্ষাগৃহে বাংলাদেশি দুই নায়ক-নায়িকায় মগ্ন সিনেমাপ্রেমী আম-আদমি।   শুধু সাধারণ প্রেক্ষাগৃহে নয়, রাজ্য সরকার পরিচালিত নন্দন থেকে প্রত্যেক বেসরকারি  মাল্টিপ্লেক্সে চলছে জয়া  অভিনীত ‘ঈগলের চোখ’ বা শাকিবের অভিনীত ‘শিকারী’।

এর আগেও ভারতে একাধিক বাংলাদেশি শিল্পী অভিনয় করেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্রে। কিন্তু এবারই প্রথম কলকাতার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে একসঙ্গে একই দিন দুই বাংলাদেশি তারকার দু’টি সিনেমা। একটি শাকিবের ‘শিকারী’ ও অপরটি জয়ার ‘ঈগলের চোখ’।

রেকর্ড আছে,  ১৯৯১ সালে ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ বাঙলা চলচ্চিত্রের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলো। এমন কী সে সময় সত্যজিৎ রায় পরিচালিত  বহুদিন চলা ‘পথের পাঁচালি’র রের্কডও। যদিও বিষয়টা বুদ্ধি দিয়ে না ভাবাই ভালো। তবু রের্কড রের্কডই।

তবে সেদিন আর আসবে না। এখন বাংলা সিনেমা আর অনেকদিন চলে না। সে মশলাই নাকি নেই এখনের সিনেমায়! এমনটাই জানালেন সিনেমা দেখতে আসা এক প্রবীণ।
শিকারী ও ঈগলের চোখ দু’টো সিনেমাই ভালো।   তবে এগিয়ে রাখবো শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা উপন্যাস ‘ঈগলের চোখ’-কে।

এটি একটি গোযেন্দা গল্প। গোয়েন্দার নাম ‘শবর’।   যেখানে দেখানো হয়েছে শুধু নারীরাই যৌন লাঞ্ছিত হন না। সমাজে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষেরাও এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হন।

দেখানো হয়েছে, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে শবর দাশগুপ্ত খুনের কিনারা করতে এক বাড়িতে যায়। সেই বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বোঝা পড়া ছিলো না। গোয়েন্দা শবরের  বুদ্ধির জোরে একদিকে খুনের কিনারা হয়, অন্য দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বোঝা পড়া গড়ে ওঠে।

ছবিতে প্রেম আছে, আছে সন্দেহ। রয়েছে পরকীয়া এবং খুনের মতো নির্মম ঘটনাও। সব মিলিয়ে টানা আড়াই ঘণ্টা একঘেয়ে লাগবে না।

অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, অরুণিমা ঘোষসহ আরও কয়েকটি নতুন মুখ।

উল্টো দিকে, শাকিবের শিকারী, জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় দুই দেশের শিল্পীদের কাজ ভালো লেগেছে। । পরিচালক জাকির হোসেন ও জয়দেব মুখার্জী।

অভিনয়ে শাকিব খান, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রাহুল দেব ও অমিত হাসানও বেশ ভালো করেছেন। নাচে, গানে আর অ্যাকশনে জমজমাট চলচ্চিত্র।

মাঝে একটু এক ঘেয়ে লাগলে মোটের উপর ভালো। সব মিলিয়ে দু’ঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের সিনেমা।

পশ্চিমবঙ্গে পরপর তিনদিন ছুটি থাকায় ছায়াছবি দু’টি  ‘হাউজ ফুল’ যাবে বলে মনে করছেন প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ।

প্রথম দিনেই দু’টি চলচ্চিত্র নিয়েই দারুণ সাড়া পড়ছে কলকাতায়। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রাজকাহিনী’ ছবির পর থেকে জয়া আহসানের অভিনয় নিয়ে কলকাতার দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে।

অন্যদিকে শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারী’ চলচ্চিত্রটি নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহ আছে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দু’টি বাংলা সিনেমার সঙ্গে আরও দু’টি হিন্দি সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে। একটি হৃতিক অভিনীত ‘মহেঞ্জোদারো’ এবং অপরটি অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘রুস্তম’। তবুও কলকাতায় চর্চায় রয়েছে ‘শিকারী’ ও ‘ঈগলের চোখ’।

প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হবার সময় দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, তারা আরও বেশি করে বাংলাদেশের তারকাদের অভিনয় দেখতে আগ্রহী। কারণ একাধিক বার পশ্চিমবাংলা তারকাদের কাজ দেখেছেন তারা। একটু স্বাদ বদল করতে চান এবার।

এতে একদিকে নতুন ধরনের চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ যেমন পাওয়া যাবে তেমনই সমৃদ্ধ হবে দুই বাঙলা অর্থাৎ বাংলাদেশ-পশ্চিমবাংলার  চলচ্চিত্র।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৬
ভিএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।