ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেতনাই দুই বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে: ড কামাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১১

কোলকাতা: প্রতিবাদী চেতনা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তিই ভৌগলিক বিভেদ থাকা সত্ত্বেও দুই বাংলাকে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে। ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেছেন।



কোলকাতার নেতাজি ভবনে বৃহস্পতিবার শরৎ চন্দ্র বসু স্মৃতি আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।  

ড. কামাল বলেন, সীমান্তের এপার-ওপার দুই বাংলায়ই আদর্শ, সাহস ও চেতনার একই ধারা বহমান আর সেটাই বাঙালির সম্পদ।  

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার একমাত্র জীবিত ব্যক্তি এখন ড. কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, একটা সময় আমরা যে রাজনৈতিক মতাদর্শ ও মূল্যবোধ দ্বারা চালিত হতাম তা আজ অনেকাংশেই অবর্তমান। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ্য নেতৃত্বই একটি শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও একই ধরনের আদর্শের তাড়না আমরা দেখেছি। তাই বিশ্বের যে কোনো পরিবর্তনই আজ ঘটুক না কেনো যে বাঙালি নেতাজি সুভাষ বসু, শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা শরৎ চন্দ্র বসুর চেতনায় উদ্ধুদ্ধ তাদের পরিবর্তন হবে না।

বাংলাদেশের স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্মলাভের ধারবাহিকতা বর্ণনা করে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা যখন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছি তখন শাসক গোষ্ঠীর হাতে আমরা বঞ্চনার শিকার হয়েছি। পূর্বপাকিস্তানে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এর মধ্যে আসে ভাষার ওপর আঘাত। যার প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাঙালি ছাত্র-যুবা।

ড. কামাল বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু। তিনি বলেন, ইতিহাস আমাদের কাছে মুখ্য নয়, আমরা পরিস্থিতি থেকে পাওয়া মনের জোরের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেই আমাদের কী করণীয়।

১৯৬৮ থেকে ৭১ পর্যন্ত বিশ্ববাসী বুঝেই উঠতে পারেনি বাঙালির এই সংগ্রামের শেষ কোথায়। কিন্তু আমরা সে আন্দোলনের সমাপ্তি টেনেছি স্বাধীনতা দিয়ে।  

ড. কামাল হোসেন বলেন, রাজনৈতিক অর্জন নিশ্চিত করতে মানুষকে পরিবর্তনের পক্ষে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি এটিই রাজনীতির মূলমন্ত্র। আর ভারত ও পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এই মন্ত্রই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। আগামী দিনগুলোতেই এই সত্যটিই সবচেয়ে বড় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সময় ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।