ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতকে উড়িয়ে সিরিজ জিতলো প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
ভারতকে উড়িয়ে সিরিজ জিতলো প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল  বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ক্রিকেট টিম। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: অনেকটা এলাম দেখলাম আর জয় করলামের মতোই। সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে আজ তারা মাঠে নেমেছিলেন। কারও একটা পা নেই, কারো নেই একটা হাত বা নেই চোখের আলো। 

তাতে কী? গায়ে জাতীয় দলের জার্সি আর মনে তো আছে দেশ প্রেম! মনের বল নিয়ে মাঠে নামার সময় একদল ঐক্যবদ্ধ হয়ে যখন চিৎকার করে ‘জয় বাংলা’; অপর দলও মাঠে নেমে গর্জন শোনায় ‘ভারত মাতা কি, জয়’।  

কে বলবে এরা শাকিব কিংবা মাশরাফি থেকে কোনো অংশে কম নয়! অথবা কম যান না কোহলি বা পান্ডিয়ার থেকেও।


 
ভারতের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি মৈত্রী সিরিজ খেলতে কলকাতায় যে ১৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল এসেছে, তারা টানা তিন ম্যাচে ভারতকে পরাজিত করে।  

১০, ১১ ও ১২ নভেম্বর টানা তিনটি সিরিজ খেলা হয় দক্ষিণ কলকাতার বিবেকানন্দ ময়দানে। পরপর তিনটিতেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
 
প্রথমদিন ভারতকে ১৮ রানে পরাজিত করে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। দ্বিতীয়দিন ভারত প্রথম ব্যাট করে ১৫৪ রান তুলে। কিন্তু বাংলাদেশ সে রান তাড়া করে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় (রান ১৫৫) নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।  
 
রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দল। ভারতীয় বোলিংয়ের জবাবে তারা ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮২ রান করে মাঠ ছাড়ে।  

দুপুরের পর ভারতীয় প্রতিবন্ধী টিম মাঠে নেমে প্রথমদিকে ভালোই রান তাড়া করে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। ১৭৮ রানে অল আউট হয় তারা। এর এতেই ৫ রানে জয়ী বাংলাদেশ।
 
ভারতীয় প্রতিবন্ধী ক্রিকেট টিম। ছবি: বাংলানিউজরোববার ছুটির দিন হওয়ায় সকালে মাঠে দর্শক খারাপ হয়নি। বেশ আগ্রহ নিয়েই খেলা দেখতে যান তারা। তবে কর্মকর্তাদের কথায়, প্রচারণা চালানো হলে খেলায় আরও দর্শক বাড়তো।  

শারীরিক দক্ষতা দেখে প্রথমদিন থেকেই বোঝা যাচ্ছিলো জয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী টিম আশাবাদী। তবে এর উল্টো ছিলো ভারতীয় টিমকে।  

টিমের মেন্টর আশীষ শ্রী বাস্তব বলেন, যোগ্য টিম হিসেবে জিতেছে বাংলাদেশ। তার সঙ্গে আমার ভালো লাগছে ও দেশ তাদের প্রতিবন্ধীবান্ধব দেশ। তাদের দেশে সরকার ও বোর্ড প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ভাবে। কিন্তু আমার দেশে কোনো সরকারেরই সেরকম সাহায্য পাই না। সেটা হোক কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার।
 
বাংলাদেশ টিম ম্যানেজার খন্দকার আহমেদ বলেন, আমি আশাবাদী ছিলাম আমাদের ছেলেরা জিতবে। বিদেশের মাটিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে এটাই তো বড় পাওনা। ফিরে গিয়ে আমরা মিটিং করবো কিভাবে টিমকে আরও উন্নত করা যায়।
 
রোববার খেলা শুরুর আগে মাঠে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল।  

তিনি বলেন, খেলা দেখে আমি তো মুগ্ধ। কে বলবে এরা ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ টিম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
ভিএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।