ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘মুক্তিযুদ্ধের বই ছেপে দেশপ্রেমের পরিচয় দিচ্ছেন প্রকাশকরা’

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১১
‘মুক্তিযুদ্ধের বই ছেপে দেশপ্রেমের পরিচয় দিচ্ছেন প্রকাশকরা’

কলকাতা: মুক্তিযুদ্ধের বই ছেপে প্রকাশকরা দেশপ্রেমের পরিচয় দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন লেখক শাহরিয়ার কবির।

শুক্রবার বাংলাদেশ বইমেলা উপলক্ষে কলকাতার নেহেরু শিশু যাদুঘরে ‘বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনা ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ক বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।



এদিন সন্ধ্যায় এ বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত এ আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন বিজল্প পত্রিকার সম্পাদক প্রসূন ভৌমিক, শিক্ষাবিদ সুনন্দ স্যান্যাল, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার, কবি পঙ্কজ সাহা, শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনার তারেক মুহম্মদ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক ফরিদ আহমদ।

আলোচনার সভাপতিত্ব করেন সাহিত্যিক সুনীল গাঙ্গুলী।

বিজল্প পত্রিকার সম্পাদক প্রসূন ভৌমিক তার আলোচনায় বলেন,‘আমার কাছে মুক্তিযুদ্ধের মানে ভাষা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক মুক্তি। আর এই যুদ্ধ চলমান একটি প্রক্রিয়া। ’

শিক্ষাবিদ সুনন্দ স্যানাল বলেন,‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ধর্মের অনুশাসন নয়, গণতান্ত্রিক আন্দোলন। এর থেকে শিক্ষা পেলাম ধর্মের চেয়ে ভাষা বড়। বাংলাদেশ যত দিন থাকবে বাংলা ভাষা মরবে না। ’

কবি পঙ্কজ সাহা বলেন,‘পূর্ব পাকিস্তানের সময় আমরা কোনও প্রকাশনা পেতাম না। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আমাদের বাংলাদেশের প্রকাশনা সম্বন্ধে জানার শুরু।

এদিন তিনি প্রস্তাব করেন,‘ বহির্বিশ্বে বেঙ্গলি ও বাংলাকে পৃথক ভাষা বলা হয়। এটা এবার দু’দেশের সরকারিভাবে বলা হোক আমাদের ভাষা একটাই, বাংলা। ’

এদিনের মূল আলোচক শাহারিয়ার কবীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘বাংলাদেশের কোনও বই কলকাতায় পাওয়া যায় না। লন্ডনের বাঙালি দুই বাংলার বই পড়তে পারে কিন্তু আমরা পারি না। ’

তিনি বলেন,‘আমাদের প্রকাশকরা বিক্রির কথা ভেবে বই প্রকাশ করেন না। মুক্তিযুদ্ধের বই প্রকাশ করে প্রকাশকরা দেশপ্রেমের পরিচয় দিচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের সাহিত্যে রেনেসাঁ এনেছে। এর ফলে এই সময় থেকে বাঙালি মুসলমানরা তাদের প্রকৃত ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। ’

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘সেই সময় এমন মানুষ ভারতে পাওয়া যাবে না যারা মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেননি। ’

সাবেক বিএনপি ও জামায়াতের জোট সরকারের সমলোচনা করে তিনি বলেন,‘তারা চেয়েছিল বাংলাদেশে থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যাকে শূন্যে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে আরও একটা পাকিস্তান বানাতে। ’

আলোচনা সভার শেষ পর্যায়ে সভাপতি সুনীল গাঙ্গুলী বলেন,‘পাইরেসি বন্ধ করার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। বইপত্র আদান-প্রদানের জন্য আইন আরও শিথিল করতে হবে। ’

দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্ট ও ভিসা তুলে দিলে ধর্ম নিয়ে অহেতুক পাগলামি বন্ধ হবে বলে এদিন বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।