ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আর্থিক ক্ষতির জেরে কর্মী ছাঁটাই করছে ইন্ডিগো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
আর্থিক ক্ষতির জেরে কর্মী ছাঁটাই করছে ইন্ডিগো ইন্ডিগোর একটি উড়োজাহাজ/ ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: ভারতে বেসরকারি বিমান পরিষেবাগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ পরিবহন সংস্থাটি হলো ইন্ডিগো এয়ারলাইনস। শুধু সর্ববৃহৎ নয়, জনপ্রিয়তার নিরিখেও দেশটির শীর্ষস্থানে রয়েছে এই বিমান সংস্থাটি।

ইন্ডিগো বিমান এমন একটা সংস্থা যারা সাধারণ ভারতবাসীকে কম খরচে বিমানে চড়ার আনন্দ দিয়েছে। কিন্তু চলমান লকডাউনে ব্যবসায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির কারণে ইন্ডিগোর মতো সংস্থা বাধ্য হচ্ছে কর্মী ছাঁটায়ের পথে হাঁটতে। মোট কর্মীদের ১০ শতাংশ বাদ দেবে তারা।

শুধু কম খরচে বিমানে চড়ার সুযোগ দেওয়ার কারণে ইন্ডিগো জনপ্রিয় নয়, তথ্য বলছে দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে লাভবান বেসরকারি বিমান সংস্থা।
তবে প্রশ্ন হলো লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন রয়েছে সবারই। কিন্তু এই সমস্যায় ইন্ডিগোর মতো বৃহত্তম সংস্থার যদি এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে বাকি সংস্থাগুলোর কী হবে?

ঠিক কোন অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলো ইন্ডিগো
মূলত করোনা ঠেকাতে গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক ও দেশের মধ্যে সব বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে ভারতে। ২৫ মে থেকে আন্তঃদেশীয় বিমান চালানোর ছাড়পত্র মিললেও, এই মুহূর্তে হাতেগোনা কিছু বিমানই চলাচল করছে। তাই লাভের মুখ দেখা তো দূর অস্ত, ক্ষতির খতিয়ানই ভাবিয়ে তুলছে সংস্থাটিকে। যার ফলে বেতন হ্রাস, বিনা বেতনে ছুটি এবং সবশেষে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে সংস্থাটি।

বর্তমানে সংস্থাটিতে কর্মীসংখ্যা ২৩ হাজার ৫৩১ জন। তার মধ্যে ১০ শতাংশ ছাঁটাইয়ের কার্যক্রমের দিকে এগোচ্ছে ইন্ডিগো। ফলে অনেকেই চাকরি হারাবেন, একথা নিশ্চিত। কিন্তু তাদের কোনো উপায় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটির কর্ণধার রণজয় দত্ত।

এর পাশাপাশি গত মাসে সংস্থার তরফে জানানো হয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে মোট ৮৭০ দশমিক ৮০ কোটি রুপি লোকসানের মুখ দেখেছে তারা। গতবছর ডিসেম্বরে যেখানে আর্থিক পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৪১২ দশমিক ৮ কোটি রুপি। চলতি অর্থবছরে (৩১ মার্চ ২০২০) সেই নগদের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯২৮ কোটিতে।

কিন্তু শুধুই কি আর্থিক লোকসানের জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে তারা? সাধারণত বিমান পরিবহন এমন এক ব্যবসা যেখানে জ্বালানির খরচটাই প্রধান। এরপর ব্যয় হিসেবে গুরুত্ব পায় বিমান লিজ, রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক আরও কিছু খরচ। ভারতে লকডাউনে বিমান পরিষেবা বন্ধ হতেই জ্বালানি তেলের খুচরা বিক্রেতারা বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় টারবাইন তেলের দাম কমিয়ে দেয়।

কিন্তু লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বিমান পরিষেবা চালু হতেই দাম বাড়ানো শুরু করে জ্বালানি তেলের খুচরো বিক্রেতারা। এ পরিস্থিতিতে মুশকিলে পড়েছে ইন্ডিগোসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
ভিএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।