কলকাতা: রথযাত্রায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন জে পি নড্ডা। এরপর একে একে আসবেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি, যোগী আদিত্যনাথের মতো তাবড় তাবড় বিজেপি নেতারা।
বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বাংলা জুড়ে ‘পরিবর্তন যাত্রা’-এর তথা রথযাত্রার সূচনা করেছে বিজেপি। এই রথে থাকছেন বিজেপি নেতারা। ইঞ্জিন চালিত রথে চড়ে তারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রচার করছেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের জনসভা থেকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, বিজেপি–র নেতারা কেন রথে থাকবে? তারা কি জগন্নাথ–বলরাম–সুভদ্রার থেকেও বড়? তাহলে কি বিজেপি নেতাদের এখন আমাদের পূজা করতে হবে?
পশ্চিমবঙ্গে আষাঢ় মাসে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা রথযাত্রা উৎসব পালন করে। ভারতের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ রথযাত্রা উড়িষ্যার পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল, শ্রীরামপুর শহরের মাহেশের রথযাত্রা, গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র মঠের রথ এবং কলকাতার ইসকনের রথযাত্রা প্রসিদ্ধ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ১০ স্টার হোটেলে গেলে যা সব পাওয়া যায় তা রাখা রয়েছে বিজেপির ওই ‘পরিবর্তন যাত্রা’-এর রথে।
তিনি এদিন কটাক্ষ করে বলেন, রথ বের করেছেন বাবুরা। সেই রথে বিরিয়ানি, মাংস–পোলাও, ছানা–কবাব দিয়ে খানাপিনা, বিশ্রাম, সাজুগুজু, গানবাজনা— সব রেডি।
তিনি আরও বলেন, এরা জগন্নাথদেবের রথযাত্রাকে কালিমালিপ্ত করেছে তা দেখে আমি লজ্জিত।
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ধর্মের নামে অধর্ম করছে এরা। দেবতার রথ বিজেপির রথ হতে পারে না।
তিনি এদিন গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে আরও বলেন, ধর্মকে ভালোবাসতে হলে আগে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। যারা মানুষ খুন করে, দাঙ্গা করে, লুটপাট করে, যারা মানুষের রক্ত নিয়ে খেলে তাদের মুখে কি ধর্মের কথা মানায়? যদি জগন্নাথ–বলরাম–সুভদ্রার রথযাত্রা হয়, আমার কোনো আপত্তি নেই, আমি ভালো করে তা করব।
যদিও রথযাত্রা বিজেপির ভোট প্রচারের পুরানো পদ্ধতি। এর আগে ভারতের প্রায় সব রাজ্যে নির্বাচনের সময় রথযাত্রা করেছে বিজেপি। তবে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে রথযাত্রার প্রশাসনিক অনুমতি পেলেও শাসক দলের কড়া কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
ভিএস/এইচএডি/