ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কেউ নাগরিকত্ব হারাবে না: অমিত শাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
কেউ নাগরিকত্ব হারাবে না: অমিত শাহ

কলকাতা: মতুয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, যা বলি তাই করে দেখাই। কথা দিয়ে গেলাম টিকাকরণের কাজ হলেই আমরা ভারতে নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন করবো।

 
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর মতুয়ায় নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সাফলিডাঙা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুরুচাঁদ ঠাকুর। পিতা হরিচাঁদ ঠাকুর ছিলেন মতুয়া আন্দোলনের সূচনাকারী। এখন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর ঠাকুরবাড়ি এবং মতুয়া ধাম এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আর সেই কারণে গড়ে ওঠে ঠাকুরনগর রেলস্টেশন। যা বনগাঁর পরবর্তী স্টেশনের নাম ঠাকুরনগর।  

এদিন ঠাকুরনগরের সভায় হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর আর বড় মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকানোর ক্ষমতা নেই আর শরণার্থীদের সম্মান দিতে ২০১৯ সালে আমরা নাগরিকত্ব আইন এনেছি। করোনা ভাইরাসের জন্য আইন প্রণয়নের কাজ পিছিয়ে গেছে। তারমধ্যে দিদি (মমতা) বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে এই আইন বাস্তবায়ন করতে দেবেন না। তিনি দেখে নেবেন কীভাবে আইন বাস্তবায়ন হয়। দিদি, এটা ভারতীয় সংসদের আইন আপনি আটকাবেন কীভাবে?
আপনার অনুপ্রবেশ ঠেকানোর ক্ষমতা নেই। যেটা ভারতীয় জনতা পার্টির আছে। ৭০ বছর ধরে মতুয়ারা নাগরিকত্ব পায়নি, এবার পাবে।

এদিন মতুয়া উন্নয়নে একাধিক পরিকল্পনা ঘোষণা করে অমিত শাহ বলেন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে।  

এর সঙ্গে ঠাকুরনগরের রেলস্টেশনের নাম ‘শ্রীধাম ঠাকুরনগর’ রেলস্টেশন করা হবে বলে ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিরোধীদের প্রতি কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল মুসলিম সংখ্যালঘু ভাই-বোনেদের ভুল বোঝাচ্ছে, যে নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন হলে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল হবে। যারা ভুল বুঝছেন আমি সেসব সংখ্যালঘু নাগরিকদের বলছি, এই আইন একজনও সংখ্যালঘু ভাই-বোনের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। আমি কথা দিচ্ছি, এদের ফাঁদে পা দেবেন না।

একইসঙ্গে অনুপ্রবেশকারী, কর্মসংস্থান নিয়ে একাধিক প্রশ্নে জর্জরিত করেন মমতার সরকারকে। পাশাপাশি অনুপ্রবেশকারীদের আটকাবে আর শরণার্থীদের সম্মান দেবে বলেও জানান তিনি।

৩১ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে সভায় আসার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু ৩০ তারিখ দিল্লিতে বিস্ফোরণের দায় সেই কর্মসূচি স্থগিত হয়। তারপরই রাজ্য বিজেপি ঘোষণা করে ঠাকুরনগরের সভামঞ্চ না খোলার। ফেব্রুয়ারি মাসেই এখানে সভা করবেন অমিত শাহ। এরপরই মাতুয়াসহ রাজ্যবাসী অপেক্ষা করছিল সিএএ নিয়ে কি বলেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার রাজ্য সফরে এসে সেই কাজটাই করলেন অমিত শাহ।
এদিন এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোচবিহারে গিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি আগামীতে ২শো'র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।