ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

চলছে ৫ম দফার ভোটগ্রহণ, ক্ষমতা ধরে রাখাই তৃণমূলের বড় চ্যালেঞ্জ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২১
চলছে ৫ম দফার ভোটগ্রহণ, ক্ষমতা ধরে রাখাই তৃণমূলের বড় চ্যালেঞ্জ চলছে ৫ম দফার ভোটগ্রহণ চলছে। ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: চতুর্থ দফায় ভোটে রক্তাক্ত হয়েছিল পশ্চিমবাংলা। শীতলকুচিতে প্রাণ গিয়েছিল ৫ জনের।

এরই মধ্যে শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটপর্ব শুরু হয়ে গেছে সকাল ৭টা থেকে। ভোট চলছে রাজ্যের ছয় জেলায় মোট ৪৫টি আসনে। কালিম্পং জেলার ১টি আসনে, জলপাইগুড়ি ৭, দার্জিলিঙের ৫, উত্তর ২৪পরগনার ১৬, পূর্ব বর্ধমানের ৮ এবং নদিয়ার জেলার ৮ আসনে।

এ দফায় শীতলকুচির ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এই পর্বে ১৫ হাজার ৭৮৩ বুথে মোতায়েন করা হয়েছে ১,০৭১ কোম্পানি অর্থাৎ ১ লাখ ৭ হাজার আধা সামরিক সেনাবাহিনী। ৬ জেলার নির্বাচনী বুথ পাহারায় আছে ৮৫৩ কোম্পানি এবং বাকি ১১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছে অন্যান্য দায়িত্বে। এছাড়াও ভোটরদের সুরক্ষা দিতে ১৫ হাজার ৭৯০ জন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীও রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন স্বীকার করেছে পঞ্চম দফায় তাদের চ্যালেঞ্জ দু’ধরনের। প্রথমত, সন্ধ্যা সাড়ে ছটা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট পর্ব শেষ করা। দ্বিতীয়, রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ। আর তাই করোনাবিধি মেনে ভোটগ্রহণ করা। তৃণমূল, বিজেপি, সংযুক্ত মোর্চা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলিয়ে পঞ্চম দফায় প্রার্থী সংখ্যা ২৬০ জন। এবং ১৫ হাজার ৭৮৩ বুথে সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলছে ইভিএম-এর মাধ্যমে।

তবে এই দফার ভোটগ্রহণে ৪৫টি আসনে রাজনৈতিক এবং বিনোদন জগতের চেনা মুখে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তবে বিজেপির একজন তারকা প্রার্থী রয়েছেন। উত্তর ২৪পরগনার বরানগরে বিজেপির বাজি অভিনেত্রী পার্নো। বিনোদন জগতে পরিচিতি মুখ হলেও রাজনীতির ময়দানে পার্নো একেবারে নব্য। তার বিপরীতে আছেন তৃণমূলের প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়। এই আসন থেকেই পর পর দু’বারের বিধায়ক তাপস রায়।

তবে ওই জেলার বিধাননগর আসনে অঙ্কটা একবারে উল্টে গেছে। পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে শিল্পীর লড়াই। তৃণমূল প্রার্থী রাজনীতিতে নবাগতা কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সি। অদিতির বিপরীতে আছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র তথা সাবেক বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। আর আছেন বারাসাত আসনের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তবে রাজনীতিতে নতুন নন। পর পর দু’বার বারাসাতের বিধায়ক চিরঞ্জিত। এছাড়া তৃণমূলের তরফে আছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু।

গত বিধানসভা নির্বাচনে নিরিখে এই ৫ জেলার ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে রাজ্যের রাজনৈতিক ধারার অনেকটাই পরিবর্তন করেছে বিজেপি। এখন দেখার এবারের নির্বাচনে তৃণমূলই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে? নাকি বিজেপিকেই বেছে নেবে রাজ্যবাসী? তা জানা যাবে ২রা মে ভোট গণনার দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২১
ভিএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।