ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২১
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

কলকাতা: কলকাতাস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে উদযাপিত হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী।  

এ উপলক্ষে রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে উপ-হাইকমিশনের গ্যালারিতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, তথ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- দৈনিক বাংলা সংবাদপত্রের প্রখ্যাত সাংবাদিক অমল সরকার, উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি ও প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-২) সানজিদা জেসমিন।

সভাপতির বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে বাবা-মায়ের পাশাপাশি যার অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল, তিনি হচ্ছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তার অসামান্য অবদানের কারণেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে প্রায় ৩৬ বার স্ত্রী রেণুর (ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ডাক নাম) কথা উল্লেখ করেছেন আর কারাগারের রোজনামচায় উল্লেখ করেছেন প্রায় ৭০ বার। এ বই দু’টি পড়লে স্পষ্টতই মনে হয়, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের চালিকাশক্তি। কাজেই বঙ্গমাতার প্রকৃত মূল্যায়ন ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

বিশেষ অতিথি সাংবাদিক অমল সরকার বলেন, দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে উদ্ভবের পর পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের ওপর যে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল, তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরুতেই মানতে পারেননি। এ মহারণে বঙ্গবন্ধু যে মরণপণ যুদ্ধ করেছিলেন, তার প্রতিটি ধাপেই বঙ্গমাতার উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল।

উপ-হাইকমিশনের প্রেস শাখার ড. ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরস্পর পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জনক হয়ে ওঠার নেপথ্য সারথি হলেন তার চিরজীবনের সুখদুঃখের সঙ্গী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন বঙ্গমাতা। বাঙালি ও বাংলাদেশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু যেভাবে জড়িয়েছিলেন, বঙ্গমাতাও তেমনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন।

শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি বলেন, আদর্শ আর কর্মের মৃত্যু নেই। মৃত্যু নেই নিঃশেষ দান আর অন্তহীন প্রাণের। বঙ্গমাতার কর্ম, দেশপ্রেম, সংগ্রাম আমাদের পথ দেখাবে যুগ যুগ ধরে। সব যুগের সব মানুষের জন্য তিনি রেখে গেছেন অনুকরণীর, অনুসরণীয় নিদর্শন, যা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো আগামীর পথে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির পিতার মতই সমুজ্জ্বল থাকবেন বঙ্গমাতা।

অনুষ্ঠানে উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম ও কাউন্সিলর (কনস্যুলার) মো. বশির উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-৩) মুহাম্মদ সানিউল কাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২১
ভিএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।