কলকাতা: ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর। সেই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনেকের মনেই প্রশ্ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কি ফের শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করবে বিজেপি? সেই প্রশ্নের উত্তরে সোমবার(০৬ সেপ্টেম্বর) বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করা হবে না। একবার তো শুভেন্দুবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। এবার অন্য কেউ হারাবেন।
২০১১ সালে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হলেও সেই সময়ও তিনি বিধায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। পরে সুব্রত বক্সি ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। এরপর ২০১৬ সালেও তিনি এই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ২০২১ এ নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে হেরে যান তিনি। তারপর ৬ মাসের মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন।
অপর দিকে, ‘লাইন দিয়ে বিজেপি বিধায়করা তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন। লাইনে আছে প্রায় ২২-২৪ জন বিধায়ক’, সোমবার এমনই দাবি করেছেন বিজেপি ফেরত তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কয়েক দিন পরেই তৃণমূলে ফেরেন কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়। এরপর তাকে পশ্চিমবঙ্গের পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
শোনা যায়, এরপরই মুকুল রায়কে দিয়ে লাগাতার বিজেপি ভাঙনে জারি রেখেছে তৃণমুল। এরপরই উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। শুধু বিজেপি নেতা-কর্মী সমর্থকরাই নয়, বিজেপির বিধায়করাও যোগ দিতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। সেক্ষেত্রে এখন দেখার আগামীদিনে বিজেপির আর কতজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
ভিএস/এসআইএস