ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

প্রয়োজনে রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
প্রয়োজনে রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব

আগরতলা (ত্রিপুরা): প্রয়োজন হলে রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।  

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ত্রিপুরা বিধানসভা অধিবেশনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিন রেফারেন্স সময়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 

এক দশকে ত্রিপুরা রাজ্যের জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি হয়েছে। এ কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার সময় এ কথা বলেন তিনি।  

জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে, এ কথা উল্লেখ করে বিজেপির বিধায়ক ও চিফ হুইপ কল্যাণী রায় বলেন, ত্রিপুরাকে আগামী বছরগুলোতে ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ভুগতে হবে, যদি তা নিয়ন্ত্রণে আগে থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।

বিধায়কের এই বক্তব্যের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের করা জরিপ অনুযায়ী, রাজ্যে প্রত্যেক নারীর গড় প্রজনন হার ১ দশমিক ৭। তথ্য অনুসারে, প্রজনন হারে প্রত্যেক নারীর দুটি শিশুর মধ্যে হলে ভালো এবং মানদণ্ড অনুযায়ী হয়। এই মানদণ্ড অনুসারে রাজ্যে এই মুহূর্তে জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই।  
 
এ সময় বিধায়ক কল্যাণী রায় বলেন, ২০১১ সালের সর্বশেষ জনগণনা অনুসারে ত্রিপুরার মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ। কিন্তু সাম্প্রতিক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ত্রিপুরার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪১ লাখ। রাজ্যের মোট সংখ্যার সঙ্গে আরও পাঁচ লাখ লোক যোগ করা হয়েছে। যদি শতাংশের পরিমাপ করা হয়, তবে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। যদি জনসংখ্যা এই হার ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।  

তিনি আরও বলেন, যদি জনসংখ্যার এই হার বাড়তে থাকে, তবে রাজ্যের জনসংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাবে এবং ত্রিপুরার মতো একটি ছোট রাজ্যের জন্য এটি একটি বড় বোঝা হতে পারে। তাই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।  

কল্যাণী রায়ের উদ্বেগ শুনে ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী জানতে চান, রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতিতে এক সন্তান নীতি প্রণয়ন করার বিষয়ে কোনো ধরনের পরিকল্পনা নিচ্ছে কি না।  

কল্যাণী রায় বলেন, এক সন্তান নীতির জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু দুই শিশুর নীতি সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা উচিত। কারণ স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির কারণে এখন মানুষের আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।  

এ সময় বিজেপির আরেক বিধায়ক সুধাংশু দাস বিধায়ক কল্যাণী রায়ে বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, রাজ্যের দুই সন্তানের নীতিকে কার্যকর করা হোক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
এসসিএন/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।