ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৯ মাসে ঋণস্থিতি বেড়েছে ৪%, খেলাপি বেড়েছে ৩৩%

স্থবির নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণের বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
স্থবির নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণের বান

ঢাকা: সংকটে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। গত ৯ মাসে নতুন করে তাদের ঋণ বিতরণ নেই বললেই চলে।

এ সময়ে ঋণস্থিতিতে লেগেছে বড় ধরণের ধাক্কা। উল্টো দিকে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে ৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হাল নাগাদ তথ্যে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ, চেয়ারম্যান-এমডিদের ইচ্ছা মতো বিতরণ ও সুশাসনের অভাবে খেলাপি ঋণ অব্যাহতভাবে বেড়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্মরণকালের ঋণ কেলেঙ্কারি ও লুটপাটের কারণে পুরো আর্থিক খাতের ছায়া ফেলেছে। অস্তিত্ব সংকটে পতিত ও নিয়ন্ত্রণহীন খাতে পরিণত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩৪টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণ স্থিতি ছিল ৬৭ হাজার ৩৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ হাজার ১৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বা ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।  

সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। ৯ মাসে স্থিতি বেড়েছে ৩ হাজার ৮২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪ হাজার ৩১০ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

গত ৯ মাসে ঋণ স্থিতি বেড়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর খেলাপি ঋণ বেড়েছে মোট ঋণের এক তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ। ঋণের সাতগুণ বেশি হারে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।

৩৪ নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টিতে খেলাপি ঋণের হার ২০ থেকে ৯৬ শতাংশ পর্যন্ত। ১০ থেকে ২০ শতাংশ খেলাপি ঋণ আরও তিনটি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। এর বাইরে আরও একটি প্রতিষ্ঠান অবসানের প্রক্রিয়ায় আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই বলছেন, ঋণ বিতরণের সময় অনিয়ম হওয়ার কারণে ঋণ আদায় হচ্ছে না। আগে থেকে সমস্যায় ছিল এ সব নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। করোনা মহামারী ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে চাপে থাকা অর্থনীতির ছায়া এ সব প্রতিষ্ঠানকে আরও স্থবির করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২২
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।