ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে

ঢাকা: মেয়াদ শেষে সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলে নেওয়ার হার বেড়েছে। অন্যদিকে নতুন করে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে।

এর ফলে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের পরিশোধ বাড়ছে। জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কারণে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মানুষ টাকা তুলে নিচ্ছে, নতুন করে আর বিনিয়োগ করছে না। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে কড়াকড়ি করাও সঞ্চয়পত্র বিক্রির অন্যতম কারণ।  

সঞ্চয়পত্র কেনায় টিআইএন বাধতামূলক ও একই টিআইএনের বিপরীতে সঞ্চয়পত্র কেনার পরিমাণও বেঁধে দেওয়া হয়। এ কারণে অনেকেই সঞ্চয়পত্র থেকে দূরে দূরে সরে গেছেন। আবার অনেকে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। এর ফলে যে হারে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ঋণ হিসাবে অর্থ সংগ্রহ করছে, তার চেয়ে বেশি হারে মানুষকে টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। মন্দা দেখা দিয়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে।  

তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে এক হাজার ৬১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বেশি বিনিয়োগকারীদের পরিশোধ করেছে সরকার। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে সরকার মুনাফা ও মূলধন বাবদ পরিশোধ করেছে ৩৬ হাজার ৫৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আর নতুন করে বিক্রি হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৩৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।

একক মাস হিসাবে নভেম্বর মাসেও ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নভেম্বর মাসে মুনাফা ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে সাত হাজার ৮৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর বিক্রি হয়েছে ছয় হাজার ৮৮৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। এক মাসে পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৯৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকায়।

এর ফলে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে যে পরিমাণ ঋণ প্রাক্কলন করা হয়েছিল, সেই লক্ষ্য ব্যাহত হওয়ার উপক্রম তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।