ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮৩ শতাংশ প্রান্তিক মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮৩ শতাংশ প্রান্তিক মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে

ঢাকা: করোনার অভিঘাত থেকে ঘুরে দাঁড়াতে স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার প্রণোদনা দেয়। প্রণোদনার ফলে ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের প্রান্তিক মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নভুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার সদস্যদের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি পিকেএসএফ এ জরিপ পরিচালনা করে। ২০২২ সালের শেষার্ধের স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী ও প্রান্তিক মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে পরিচালিত।

জরিপে বলা হয়, করোনার আগে নিম্ন আয়ের এ শ্রমজীবী ও প্রান্তিক মানুষের ৯৭ শতাংশ প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে পারত। করোনা মহামারির সময়ে মানুষের আয় কমে যাওয়ার ফলে খাদ্য কিনতে পারা পরিবারের সংখ্যা নেমে আসে ৩৪ শতাংশে।  
করোনার ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকার প্রণোদনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়। ফলে আবার প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে পারা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশে উন্নীত হয়।

করোনার আগে প্রতিটি পরিবারের গড় আয় ছিল ২৯ হাজার ৯৫৪ টাকা। করোনার মধ্যে নেমে আসে ১৪ হাজার ৯৬৮ টাকায়। করোনা থেকে উত্তরণে সরকার পিকেএসএফকে ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়।

পিকেএসএফ নিজস্ব তহবিল থেকে আরও একশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এই টাকায় লাইভলিহুড রিস্টোরেশন লোন (এলআরএল) শীর্ষক ঋণ কার্যক্রম শুরু করা হয়।  

করোনাকালে লকডাউনে মানুষের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন, যোগাযোগ ও বিপণন। এতে আয়-রোজগারে টান পড়ে। ফলে কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়।  

আগে স্বল্প আয়ের যারা মোটামুটি সচ্ছল জীবন যাপন করতো, নিজেদের একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল, করোনার কারণে কর্ম হারিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে যায়। নিত্যদিনের খাদ্য কেনার মতো সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে।   

করোনার এ অভিঘাত মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন রকম কার্যক্রম গ্রহণ করে। ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা পল্লী অঞ্চলে পৌঁছে, যা কৃষি ঋণের আওতায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। এনজিওগুলো নিজস্ব তহবিল থেকেও কৃষি ঋণ বিতরণ করে। এ সময় সরকার নগদ সহায়তা কর্মসূচিও বাস্তবায়ন করে।  

সরকার এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা স্কিম বাস্তবায়ন করে। এই স্কিম সরাসরি স্বল্প আয়ের প্রান্তিক মানুষের কাছে সরাসরি না পৌঁছালেও কর্মসংস্থামুখী শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে।

পিকেএসএফের সাড়ে আটশ কোটি টাকা ঋণ কার্যক্রম ছিল সরকারের অন্যতম একটি কর্মসূচি। এর ফলে কর্মসংস্থান হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে ঘুরে দাঁড়ায়। মানুষের আয়-রোজগার বেড়ে যায়, ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে যায়।    

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।