ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সমন্বয় অপরিহার্য’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
‘বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সমন্বয় অপরিহার্য’

ঢাকা: বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারিখাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারিখাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য। দেশের জিডিপিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের বর্তমান অবদান শূন্য দশমিক আট শতাংশ কে পাঁচ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন ডিসিসিআই সভাপতি। এছাড়াও তিনি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডার ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস)’- এ উদ্যোক্তাদের সেবা নিশ্চিত করতে একটি জরিপ ও গবেষণা পরিচালনার প্রস্তাব করেন।  

ব্যারিস্টার সাত্তার সময়োপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি সংষ্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কন্ট্রাক এনফোর্সমেন্ট সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য পৃথক একটি ‘কমার্শিয়াল কোট’ গঠন করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি আরবিট্রেশন আইনের সংষ্কার এবং ইনসলভেনসি আইনের আধুনিকায়নের ওপর জোর দেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তর সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষ করে ইউরোপের বাজার পণ্য প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক সুযোগ-সুবিধা হারবে, এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন তিনি।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন বলেন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বিডা।  

তিনি বলেন, আগামী তিন মাস নাগাদ ‘ওএসএস’কে সম্পূর্ণ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আমাদের ব্যবসায়ী সমাজই সবচেয়ে বেশি ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি নানামুখী প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আমাদের অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী, উদ্যেমী ব্যবসায়ী সমাজ এবং ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের কারণে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও বিকাশমান হবে। পাশাপাশি তিনি সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর জোররোপ করেন।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর আরমান, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পর্ষদের সদস্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।