ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্রয়লার মুরগি ২৩০, কাঁচা মরিচ ১৬০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
ব্রয়লার মুরগি ২৩০, কাঁচা মরিচ ১৬০

ঢাকা: বাজারে মুরগি ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে আদা ও রসুনের দাম কমেছে।

অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। শসা প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, করলা ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, কেজিপ্রতি মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মানিক বলেন, বাজারে সবজির দাম কমেছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।  

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। কমেছে রসুনের দাম। বড় রসুনের কেজি ২০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বড় রসুনের কেজি ছিল ২২০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।  

কমেছে আদার দাম। কেজিতে ৬০ টাকা কমে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে আদার কেজি ছিল ৩০০ টাকা।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা।  

বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কেজি ছিল ৭০ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।  

দেশি মসুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা। লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।  

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা।  

তবে ১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. নাদিম বলেন, ডিমের দাম তেমন বাড়েনি। লাল ফার্মের মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ৪৬ টাকা। উৎপাদন কম ও চাহিদা বেশি থাকায় ডিমের দাম বেড়েছে। তবে রোজার আগে কমেবে।

বাজারে গরু ও খাসির মাংসের কেজি গত সপ্তাহে বেড়েছিল। এখন ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংস কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১১শ টাকায়। আগে বিক্রি হতো ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়।

বাজারে দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩২০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি ২৮০-২৯০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রমজান বলেন, আবারো বাড়ল মুরগির দাম। দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। খামারিরা বলছেন, সবকিছুর খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে মুরগির দাম। আশা করছি রোজার আগে মুরগির দাম কমে যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২

এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।