ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসইজেড অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত শেষ করতে হবে: ডিসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
এসইজেড অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত শেষ করতে হবে: ডিসিসিআই

ঢাকা: সরকার গৃহীত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) স্থাপনের উদ্যোগ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে এসইজেডে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ প্রভৃতি সেবা প্রাপ্তিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামা নির্মাণ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

বুধবার (১ মার্চ) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শিল্প ভবনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।  
 
এ সময় তিনি বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে আমাদের উদ্যোক্তাদের নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তাই সম্ভাব্য বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা উন্নয়নে সরকারের প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা একান্ত আবশ্যক।

এলডিসি উত্তর সময়ে স্থানীয় শিল্পখাতের প্রস্তুতির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিদ্যমান নীতি যেমন- এসএমই নীতি ২০১৯, শিল্পনীতি ২০২২-এর প্রয়োজনীয় সংষ্কার অপরিহার্য। এছাড়াও দেশের সিএমএসএমই খাতের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে এসএমই সংজ্ঞা পুননির্ধারণ করার অনুরোধ জানান তিনি। যা কুটির, ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং নীতি সহায়তা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করবে।  

তিনি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতের উন্নয়নের মাধ্যম জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান বাড়ানো সম্ভব, কারণ এ খাতের সঙ্গে আমাদের এসএমই উদ্যোক্তারা বেশি হারে সম্পৃক্ত। পাশাপাশি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নরসিংদী এবং যশোর জেলায় সরকার গৃহীত ১০টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। এর মাধ্যমে এ খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়বে।

ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক হালাল পণ্যের বাজার প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিএসটিআই সনদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ হালাল খাদ্যপণ্য, পানীয়, কসমেটিকস প্রভৃতি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে সক্ষম হবে।    

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, দেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে উদ্যোক্তারা যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে থাকেন, সেগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোকে জানানোর মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারবে।

শিল্পমন্ত্রী বৈশ্বিক হালাল বাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য বেসরকারিখাতের প্রতি আহবান জানান। এছাড়াও তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।      

এ সময় শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান) এবং সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা  উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১,২০২৩
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।