ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩ বছর পর সোনামসজিদ-মহদীপুর ইমিগ্রেশন চালু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
৩ বছর পর সোনামসজিদ-মহদীপুর ইমিগ্রেশন চালু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: অবশেষে তিন বছর বন্ধ থাকার পর ভারত সরকারের এক আদেশে পুনরায় চালু হলো ভারতের মহদীপুর ইমিগ্রেশন সেন্টার। ফলে এখন থেকে সোনামসজিদ-মহদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার ঘোষ বাংলাদেশের সোনামসজিদ জিরো পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ইমিগ্রেশন সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, মহদীপুর স্থলবন্দরের কাস্টমসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইসমাইল হোসেনসহ অন্যরা। এসময় দুই দেশের গণমাধ্যম কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কয়েক দফা এ ইমিগ্রেশনটি চালু করার চেষ্টা প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, সর্বশেষ গত ১২ মার্চ চালু হওয়ার কথা ছিল সোনামসজিদ-মহদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন। তবে কিছু কাগজপত্রের জটিলতায় তা না হলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার এ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।  

পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের নেতৃত্বে ২৫ জন ব্যবসায়ী এ ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যান।

সোনামসজিদ আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মেসবাউল হক ও বায়োজিতসহ কয়েকজন জানান, তারা সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গমসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেন। তাই মাঝে মধ্যেই ব্যবসায়িক কাজে তাদের ভারতে যেতে হয়। কিন্তু সোনামসজিদ-মহদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় তাদের বেনাপোল দিয়ে যেতে হতো। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো, টাকাও বেশি খরচ হতো। আজ থেকে এ ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যেতে পারায় ভোগান্তি কমল। এতে সোনামসজিদ বন্দরে ব্যবসায় যে ধস চলছিল, তা উত্তোরণে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত সরকার এ দুই বন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।