ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনার শঙ্কা, বিজিএমইএর ৭ নির্দেশনা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
কারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনার শঙ্কা, বিজিএমইএর ৭ নির্দেশনা 

ঢাকা: আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে পোশাক কারখানার মালিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।

 

বিজিএমইএর সদস্যদের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রীষ্ম মৌসুম শুরু হয়েছে। এ সময় আবহাওয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য কারণে বিস্ফোরণ ও অগ্নিদুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে এ দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট গ্রীষ্ম মৌসুমে অগ্নিদুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।  

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে- কারখানার সাব স্টেশন, জেনারেটর, মেইন সুইচ বোর্ড, প্যানেল বোর্ড, ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড, বিভিন্ন বৈদ্যুতিক মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ ঘটতে পারে। পাশাপাশি ঝড় ও বৃষ্টির বৈদ্যুতিক তারের লুজ হলে সেখানে পানি লেগে স্পার্ক করে আগুন লেগে যেতে পারে।


নির্দেশনায় বলা হয়- কারখানায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার বিষয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলে বৈদ্যুতিক বিস্ফোরণ ও অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। এবং শ্রমিক কর্মচারী হতাহতের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়ানো যাবে।

এছাড়া কারখানায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা ও অগ্নিদুর্ঘটনার রোধে কারখানার সব মালিককে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব সদস্যকে পাঠানো চিঠিতে সাতটি নির্দেশনা পরিপালনের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো—

• কারখানার সব বৈদ্যুতিক তার, ওয়্যারিং এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি যেমন সাবস্টেশন, জেনারেটর, মেইনসুইচ বোর্ড, সাব-মেইন সুইচ বোর্ড, ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড, জাংশন বোর্ড ও কারখানায় ব্যবহৃত সব ধরনের বৈদ্যুতিক মেশিনারিজ বিষয়ে দক্ষ একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার বা কমপক্ষে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা নিয়মিত পরীক্ষা করানো।

• বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ এবং তারসহ সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরিমাপ করা।

• সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রসমূহের জন্য ব্যবহৃত লোড অনুযায়ী সঠিক তার ব্যবহার করা। উপযুক্ত আর্থিং সংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং মাসে অন্তত একবার সব বৈদ্যুতিক তারের ইন্সুলেশন পরীক্ষা করা।

• অবিলম্বে কারখানায় দীর্ঘদিন ব্যবহৃত ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, ওয়ারিং, সার্কিট ব্রেকার, ভাঙা প্লাগ ও সকেট, পাওয়ার কার্ড ইত্যাদি পরিবর্তন করা।

• কারখানার বৈদ্যুতিক স্থাপনার ও চ্যানেলগুলো থাকা ডাস্ট নিয়মিত পরিষ্কার করা।

• যেকোনও বৈদ্যুতিক স্থাপনার কমপক্ষে তিন ফুটের মধ্যে কোনও মালামাল বা দাহ্য পদার্থ না রাখা।

• কারখানার সব বৈদ্যুতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সার্টিফিকেটধারী দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান নিযুক্ত রাখা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।