ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চিনির দাম কেজিতে কমেছে ৩ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
চিনির দাম কেজিতে কমেছে ৩ টাকা

ঢাকা: দেশে চিনির সংকট ও চলমান অস্থিরতার মধ্যেই পরিশোধিত চিনির দাম সমন্বয় করেছে সরকার। ফলে খোলা চিনির দাম প্রতি কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা।

আর প্যাকেট চিনির দাম প্রতি কেজি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আগামী ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে৷

বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ এপ্রিল থেকে চিনি নতুন দামে বিক্রি হবে। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ৩ টাকা কমেছে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি। প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি বিক্রি হবে ১০৪ টাকায়। আর পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হবে প্রতি কেজি ১০৯ টাকায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স-এর ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২৭ মার্চের আবেদন পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী পরিশোধিত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরএ) প্রতিকেজি চিনির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি ১০৭ টাকা। আর প্যাকেট জাত চিনির দাম প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করে।  
 
জানা গেছে, এখনও সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। এমনকি ২৬ ফেব্রুয়ারি চিনি আমদানিতে যে শুল্ক প্রত্যাহার হয়, তারও কোনো সুফল মিলছে না। ওই সময় আমদানি করা অপরিশোধিত চিনির ওপর থেকে কেজিপ্রতি ৭ টাকা এবং পরিশোধিত চিনি থেকে ১০ টাকা শুল্ক প্রত্যাহার হয়। তারপরও বেশি দামে চিনি বিক্রি হতে দেখা যায়।

বাজারের পণ্যমূল্যের হিসাব সংরক্ষণ করা সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত এক বছরের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। গত বছরে (২০২২) এ সময় দেশে প্রতি কেজি চিনি ৭৮-৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত। অথচ এ সময় রাজধানীর বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হতে দেখা গেছে ১২০ টাকায়। আর প্যাকেটজাত চিনি ১৪০ টাকায়। যদিও সরকার নির্ধারিত দরে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০৭ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।

এদিকে রমজান মাসে দেশে চিনির চাহিদা বেড়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, রোজার মাসে চিনির চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টন। আর এ সুযোগ লুফে নেন দেশের ব্যবসায়ীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৩
জিসিজি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।