ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বগুড়ায় আকবরিয়াকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
বগুড়ায় আকবরিয়াকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা 

বগুড়া: বগুড়ায় মেয়াদহীন, পচা-বাসি ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাবার তৈরি এবং সংরক্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগে স্বনামধন্য আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বগুড়া সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী।  

তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে ভোক্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে শহরের থানা মোড় এলাকায় আকবরিয়া গ্রান্ড হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হোটেলে বাসি মিষ্টি, মাখন বিক্রি ও সংরক্ষণ, মেয়াদহীন রসমলাই বিক্রি করতে দেখা যায়। এমনকি আভিযানিক দল পরিদর্শনের সময় রসমালাইয়েও ওপর মাছি ঘুরতে দেখে। এছাড়াও হোটেলে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা, ফ্রিজিং ব্যবস্থা নোংরা অবস্থায় পাওয়া গেছে।  

তিনি বলেন, এসব নানান অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী হোটেল কর্তৃপক্ষকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তাদের হোটেল ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে তাদের। পরবর্তীতে এমন ভুল পেলে হোটেল সিলগালা করা হবে।

আভিযানিক দলটি জানায়, আকবরিয়া হোটেলে অন্তত পাঁচশ নিয়মিত কর্মচারী রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হোটেলটির কর্মচারীদের নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও প্রতি প্রশিক্ষণে আকবরিয়া হোটেলের কয়েকজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়। তারপরেও তাদের মধ্যে অসচেতনতা রয়েই গেছে।

এ বিষয়ে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সব হোটেল রেস্টুরেন্টে আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এসবের মধ্যে রান্না ঘরের পরিবেশ, খাবার প্রদর্শনের ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় থাকে। আজকেও আকবরিয়া হোটেলের কর্তৃপক্ষকে এসব ব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আকবরিয়া হোটেলের হেড অব সেলস মো. রমজান জানান, আমাদের চেয়ারম্যান হোটেলের মান নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমাদের কাছেও ভোক্তাদের অভিযোগ আসে। সেগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু এখানে অনেক কর্মচারী থাকায় অনেক সময় ভুল-ত্রুটি হয়ে যায়।

যৌথ এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও জেলা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
কেইউএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।