ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ হলো ‘মুজিব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
শেষ হলো ‘মুজিব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল’ ‘মুজিব'স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: মুখরোচক বাঙালি খাবারের পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খাবার নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘মুজিব'স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল: টেস্ট অব বাংলাদেশ’। রাজধানীর বনানী পার্কে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব শেষ হলো শনিবার (৬ মে) রাতে।

এর আগে ৪৩টি স্টলের মাধ্যমে মোট ৩৯টি প্রতিষ্ঠান প্রায় অর্ধশতাধিক মুখরোচক ও ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রদর্শন ও বিক্রয় করে এ আয়োজনে। বিখ্যাত হাজী বিরিয়ানি, ঢাকাই বাকরখানি, কুমিল্লার রসমালাই, বগুড়ার দই, সাতক্ষীরার প্যারা সন্দেশ, খুলনার চুইঝাল, বাগেরহাটের চিংড়ি, বরিশালের সন্ধ্যা নদীর ইলিশ, কুষ্টিয়ার কুলফি মালাইসহ মুখরোচক সব খাবার স্থান পেয়েছিল স্টলগুলোতে।

শনিবার রাতে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সমাপনী আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের দেশের খাবারের বিকাশে হলিডে মার্কেটের আদলে ঢাকা শহরে স্ট্রিট ফুড মার্কেট গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এ আহ্বানে সাড়া দেন উত্তর সিটির মেয়র।

তিনি বলেন, আগারগাঁওয়ের হলিডে মার্কেটের আদলে আমরা একটি স্ট্রিট ফুড মার্কেটও গড়ে তুলবো। সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার এটি চলবে একটি সড়কের পাশে। একইসঙ্গে এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে। আর আমরা একটা চিন্তা-ভাবনা করেছি। সেটা হলো ১০০টা স্ট্রিট ফুড কার্গো নামানো হবে ঢাকা শহরে। এতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য থাকবে ও তার মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হবে। আমাদের শুধু খাবার তৈরি করলেই চলবে না, তার মান উন্নয়নও নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিখ্যাত সব খাবারগুলো এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থান পেয়েছে এক প্ল্যাটফর্মে। বর্তমান প্রজন্ম ও বিশ্বের কাছে বাঙালি খাদ্য ও সংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ঘটবে এ আয়োজনের মাধ্যমে। তাছাড়া বাঙালি খাদ্য ঐতিহ্য সংরক্ষণেও এ আয়োজন ভূমিকা রাখবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান স্পেলবাউন্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মাদ সাদিকুল আরেফিন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও স্পেলবাউন্ড কমিউনিকেশন যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৪ মে) রাজধানীর বনানী কামাল আতাতুর পার্কে তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়। মেলা চলে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। মেলার অন্যান্য আকর্ষণ হিসেবে ছিল বিখ্যাত বাউল কুদ্দুস বয়াতি, নানা-নাতি, গম্ভীরা, কাওয়ালি, লালন সংগীতসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।