ঢাকা: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম দাবি করেছেন, বিদেশে অর্থ পাচার হয়নি, এই কথাটা সঠিক নয়। এ বছরও অর্থ পাচার হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, অনেক বাংলাদেশি বিদেশে বাড়ি-ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বানিয়েছেন সেই অর্থ কোথা থেকে গিয়েছে তাহলে?
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) “এবারের বাজেট টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবে” শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তিনি এসব কথা বলেন।
এবারের বাজেটের সমালোচনা করে ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ে দুর্বলতা আছে। ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য সামাজিক অসন্তোষ তৈরি করতে পারে। সুশাসনের সমস্যা দূর করতে না পারলে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ আমরা বাড়াতে পারব না।
তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয় এবারের বাজেটে। অতিরিক্ত টাকা ছাপানো হলে মূল্যস্ফীতি আরো বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক যে পরিমাণ অর্থ রিজার্ভ দেখিয়েছে আইএমএফের মতে এটা অতিরঞ্জিত।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণ চৌধুরী বলেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা নির্বাচনী বছরের বাজেটে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। প্রস্তাবিত বাজেটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের চেষ্টা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে জনজীবনের ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে যথেষ্ট সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তবে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবারের বাজেটে তেমন প্রতিফলন ঘটেনি। আয় করযোগ্য সীমার নিচে থাকা প্রত্যেক TIN (টিন) ধারীকে দুই হাজার টাকা কর পরিশোধের বিধান মানুষকে TIN (টিন) গ্রহণ ও কর প্রদানে অনুৎসাহী করতে পারে। টাকা ছাপিয়ে সরকারের অর্থের সংকট মোকাবিলা করার চেষ্টা মুদ্রাস্ফীতি বাড়াবে। এই বাজেটে সরকার ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার যে বিশাল আকারের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ও ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা।
প্রতিযোগিতায় জয় লাভ করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা।
এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা ও সাংবাদিক বাবু কামরুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এমএমআই/এসএএইচ