ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবিতে লেদার অ্যান্ড ফুটওয়ার এক্সপো শুরু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আইসিসিবিতে লেদার অ্যান্ড ফুটওয়ার এক্সপো শুরু 

ঢাকা: চামড়া শিল্পের প্রসারে রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে সপ্তম বাংলাদেশ লেদার অ্যান্ড ফুটওয়ার এক্সপো এবং চতুর্থ নন ওভেন এক্সপো।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর হলে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এক্সপোর্ট প্রমশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

প্রদর্শনীটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে লিমরা ট্রেড ফেয়ার্স অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ টেনার অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট সোসাইটি বাংলাদেশ (এলইটিএসবি)।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট সোসাইটি বাংলাদেশের (এলইটিএসবি) সভাপতি এ কে এম মোশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তৈরি পোশাক শিল্পের পরই চামড়া শিল্পের অবস্থান। তবে নতুন বাজার দখল এবং পুরনো বাজারে আরও ভালো অবস্থান তৈরির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে এ শিল্পের। এ জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং বিশেষ সক্রিয়তা জরুরি। বাংলাদেশ থেকে পাকা চামড়ার পাশাপাশি এখন জুতা, ট্রাভেল ব্যাগ, বেল্ট, ওয়ালেট বা মানিব্যাগ বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এছাড়াও চামড়ার তৈরি নানা ‘ফ্যান্সি’ পণ্যেরও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রচুর হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো এসব পণ্য তৈরি করে বিশ্ববাজারে পাঠাচ্ছে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি দেশে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ছোট পাদুকা প্রস্তুতকারী কারখানাও রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে ৮ম বৃহত্তম জুতা উৎপাদনকারী দেশ এবং ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার।

প্রতিবছর দেশে ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া উৎপাদিত হয়ে থাকে। এসব চামড়ার ৫০ শতাংশই দেশের চামড়াজাত শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বাকিটা প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা হয় বলেও জানান এলইটিএসবির সভাপতি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক্সপোর্ট প্রমশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, চামড়াজাত শিল্পের ক্ষেত্রে এ ধরনের মেলার থেকে বড় প্রমোশন কিছু হতে পারে না। বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষেত্রে চামড়াশিল্প অনেক বড় অবদান রাখছে। যদিও ২০১৮ সালের পর থেকে চামড়াশিল্পে কিছুটা নেগেটিভ গ্রোথ হয়েছে। অন্যান্য সেক্টর যেভাবে গ্রোথ হয়েছে, চামড়াশিল্প সেভাবে গ্রোথ হতে পারেনি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মতে চামড়াশিল্পের এই স্লো গ্রোথের কারণ হচ্ছে কমপ্লায়েন্স ইস্যু এবং এলডব্লিওজি সার্টিফিকেট। এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পের এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে। গেল ১১ মাসে আমরা ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার লেদার এক্সপোর্ট করতে পেরেছে। আর আমাদের লেদার সেক্টরের এ বছরের টার্গেট হচ্ছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ। তিনি বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং দ্বৈত নীতির কারণে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিগুলো সামনে এগোতে পারছে না। পাশাপাশি গবাদিপশুর মার্কেট যে বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে সেটাকে অব্যাহত রাখতে হলে চামড়া শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পগুলোকে সব ধরনের সাপোর্ট দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির (বিপিপিএস) সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন।

তিন দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ১৫ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনীতে দেশ-বিদেশের ২৫০টির বেশি স্বনামধন্য কোম্পানি এবং তাদের নির্বাচিত এজেন্টরা পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।